


শয়তানের নক&শাটা জানা
08-04-2025


করিন্থীয়দের প্রতি পৌলের কঠিন চিঠি
15-04-2025অনুতাপকারীর জন্য প্রেম


“অধিকাংশ লোকের দ্বারা তাদৃশ ব্যক্তি যে দণ্ড পাইয়াছে, তাহাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট। অতএব তোমরা বরং তাহাকে ক্ষমা করিলে ও সান্ত্বনা করিলে ভাল হয়, পাছে অতিরিক্ত মনোদুঃখে তাদৃশ ব্যক্তি কবলিত হয়। এই কারণ বিনতি করি, তোমরা তাহার প্রতি প্রেম পুনঃস্থাপন কর” (৬-৮ পদ)।
করিন্থীয় মণ্ডলীতে পৌলের “বেদনা দায়ক” পরিদর্শনের পরে, তাৎক্ষনিকভাবে পুনরায় পরিদর্শন করার পরিবর্তে, করিন্থীয় মণ্ডলী এর পথ সংশোধন করবে এবং পুর্ণমিলনের পথ অন্বেষণ করবে এই প্রতাশ্যায় একটি তিরষ্কারের পত্র পাঠানোটাই শ্রেয় হবে বলে প্রেরিত পৌল মনে করেছিলেন। প্রেরিত পৌলের জন্য এটা সহজ বাঁছাই ছিল না, কিন্তু এটার প্রয়োজন ছিল কারণ ব্যক্তিগত পরিদর্শন পুনস্থাপনকে আরও কঠিন করে তুলতো (২ করিন্থীয় ১:২-২:৪). দ্বিতীয় করিন্থীয় ৭:২-১৬ এটা পরিষ্কার করে যে এই তিরষ্কারের চিঠি অনুতাপ নিয়ে এসেছিল, যা প্রেরিত পৌল করিন্থীয় বিশ্বাসীদের মধ্যে অন্বেষণ করছিলেন, কিন্তু আজকের শাস্ত্রাংস আমাদেরকে প্রথম চিহ্ন প্রদান করে যে প্রেরিত পৌলের যোগাযোগ ছিল সফল।
যে ব্যক্তি করিন্থীয়তে কষ্ট দিয়েছিল এবং “অনেকের দ্বারা এক প্রকারে শাস্তি ভোগ করেছেন” তার সম্পর্কে বলেছেন (২:৫-৬)। প্রেরিত এমন একজনের সম্পর্কে কথা বলছেন যিনি মণ্ডলীর শাসনের অধীনে এসেছিলেন। অন্য আর একটি শাস্ত্রাংস যেমন ৭:১২ পদের ভিত্তি অনুসারে, টীকাকারগণ বিশ্বাস করেন যে প্রশ্নের এই লোকটি এমন একজন ছিলেন যিনি প্রেরিত পৌলকে করিন্থীয়তে তার বেদনা দায়ক পরির্শনের সময় বিরোধীতা করেছিলেন, কিন্তু এই লোকটিকে এবং তার সত্যিকারের কাজকে চিহ্নিত করা কঠিন। ঐতিহাসিকভাবে, অনেক টীকাকারগণ বলেছেন যে ১ করিন্থীয় ৫ অধ্যায়ে যে লোকের সম্পর্কে বলা হয়েছে এই লোকটি সেই একই ব্যক্তি যিনি তার সৎ মায়ের সাথে অবৈধ্য সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এটা সম্ভব, কিন্তু আধুনিক অনেক টীকাকারগণ এমনটি মনে করেন না কারণ এটা মনে হয় যে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিটি বিশেষভাবে ১ করিন্থীয় পত্র লেখার পরে পৌলের বেদনা দায়ক পরিদর্শনের সময় তার বিরুদ্ধে পাপ করে থাকতে পারে। যাই হউক না কেন, ২ করিন্থীয় ২:৫-১১ পদে, আমরা দেখতে পাই যে, পৌলের বেদনা দায়ক পরিদর্শনের পরে এবং তিরষ্কারের কঠিন চিঠি পেয়ে মণ্ডলী সেই লোকটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, খুব সম্ভবত তারা তাকে বহিষ্কার করেছিলেন।
নিশ্চিতভাবে, পৌল চেয়েছিলেন প্রেরিতের সাথে পুর্নমিলনের প্রয়োজনীয় অংশ হিসাবে মণ্ডলী যেন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যা হউক, সমস্যা ছিল, মণ্ডলী অনেক বেশী দূর চলেগিয়েছিল এবং তার মন ফিরানো সত্বেও মণ্ডলী তাকে ক্ষমা করছিল না এবং তাকে মণ্ডলীর সাথে পুনস্থাপন করছিল না। তারা মণ্ডলীর শাসনের উদেশ্যকে ভুল বুঝেছিল, মণ্ডলীর শাসনের উদ্দেশ্য হলো প্রতিশোধ নেওয়া নয় কিন্তু খ্রীষ্টিয় সহভাগীতায় পুনস্থাপন করা (মথি ১৮: ১৫-২০ দেখুন)। তাই, পৌল পাপীকে ক্ষমা করার জন্য এবং সহভাগীতার দ্বারা পুনস্থাপিত করে তার প্রতি ভালবাসা পুর্নব্যক্ত করার জন্য মণ্ডলীকে আহবান করেছেন। জন কেলভিন মন্তব্য করেন: “বহিষ্কারের লক্ষ্য, যতদূর সম্ভব অপরাধীর ক্ষমতা সম্পর্কে, তিনি তার পাপ সম্পর্কে গভীর চেতনা লাভ করবে, যেন তিনি ঈশ্বরের এবং মণ্ডলীর দৃষ্টিতে নম্র হতে পারে, এবং সে যেন পাপকে ঘৃণা করে এবং দোষ স্বীকারের মধ্যদিয়ে ক্ষমা লাভ করে। যে লোক এই প্রক্রিয়ায় এসেছে তার জন্য কঠিন তিরষ্কারের চেয়ে সান্ত্বনা বেশী প্রয়োজন।”
ঈশ্বরের মুখ
একজন পাপীকে শাসন করার লক্ষ্য সর্বদাই হবে ক্ষমা এবং পুনস্থাপন করা। একজন পাপী অনুতাপের সহিত সাড়া দিবে কি দিবে না তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না কিন্তু যখন একজন পাপী মন ফিরাই তখন তাকে ক্ষমা করার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যখনই আমরা মণ্ডলীতে শাসনের কাজে সম্পৃক্ত হই অথবা এমন কি যখন আমরা এমন কারোর সম্মুখীণ হই যিনি আমাদের বিরুদ্ধে পাপ করেছে, সেই ব্যক্তি যখন মন ফিরাবে আসুন আমরা তাকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত থাকি।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।