


সুস্থির এবং নিশ্চল
13-05-2025


স্বর্গীয় ব্যক্তি
20-05-2025শেষ তূরীধ্বনীর শব্দ


“আমি এই বলি, ভ্রাতৃগণ, রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হইতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না। দেখ, আমি তোমাদিগকে এক নিগূঢ়তত্ত্ব বলি; আমরা সকলে নিদ্রাগত হইব না, কিন্তু সকলে রূপান্তরীকৃত হইব; এক মুহূর্তের মধ্যে, চক্ষুর পলকে, শেষ তূরীধ্বনিতে হইব; কেননা তূরী বাজিবে, তাহাতে মৃতেরা অক্ষয় হইয়া উত্থাপিত হইবে, এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হইব। .”
নূতন সৃষ্টিতে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে চিরকাল বাস করার জন্য কেবলমাত্র আমাদের আত্নার নয় কিন্তু দেহেরও রুপান্তর প্রয়োজন। ১ করিন্থীয় ১৫:৩৫-৪৯, পদে পৌল এই বিষয়ের উপরে অনেক জোড় দিয়েছেন, যেখানে আমরা খ্রীষ্টের দেহের মতো পুনরুত্থিত এবং নূতনীকৃত একটি দেহ লাভ করতে দেখি যা খ্রীষ্টেতে আশ্রিত সকল বিশ্বাসীদের জন্য প্রত্যাশা। আজকের শাস্ত্রাংশে প্রেরিত এই বিষয়ে সমর্থন দিয়ে তিনি ব্যখ্যা করেছেন যে, একটি রুপান্তরিত দেহের প্রয়োজন রয়েছে কারণ “রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হইতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না” (৫০ পদ)।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই যে, এখানে কিন্তু প্রেরিত পৌল এমন দৈহিক অস্তিত্বকে অবজ্ঞা করছেন না এবং যীশু যখন তাঁর রাজ্য পূর্ণ করার জন্য ফিরে আসবেন তখন আমরা বিশুদ্ধ পবিত্র আত্নার অনুকুলে আমাদের দেহ পরিত্যাগ করব তিনি এমন শিক্ষাও দিচ্ছেন না। সর্বোপরী, তাঁর পুনরুত্থিত দেহে, যীশু মাংস ধারণ করেছেন যা স্পর্শ এবং দেখা গিয়েছিল, যদিও এটা মাংস ছিল তথাপি এটা পবিত্র আত্নার দ্বারা নূতনীকৃত ছিল (যোহন ২০:২৪-২৯ দেখুন)। যেহেতু আমরা যীশুর মতো হব, সেহেতু আমাদের পুনরুত্থিত দেহগুলোও হবে শারীরিক (১ করিন্থীয় ১৫:৪৯; ১ যোহন ৩:২ পদ দেখুন)। কিন্তু এটা হবে রুপান্তরীত রক্ত এবং মাংসের দেহ। যেমন, জন কেলভিন বলেছেন, “আমাদেরকে অবশ্যই এই রক্ত এবং মাংসকে বুঝা উচিত, যে শর্তে তাদেরকে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে তা অনুসারে, কেননা আমাদের মাংস ঈশ্বরের মহিমায় অংশগ্রহণ করবে, কিন্তু তা হবে খ্রীষ্টের আত্না দ্বারা নূতনীকৃত এবং সজীব। ” মনে রাখবেন, বর্তমানে, এমন কি আমাদের শারিরীক দেহগুলো পাপের দ্বারা কলুষিত হয়েছে, সেগুলো মৃত্যুর অধীন এবং ক্ষয়শীল। রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই পরিবর্তিত হওয়া উচিত, কেননা মৃত্যু এবং ক্ষয় ঈশ্বরের সাথে, যিনি জীবন্ত ঈশ্বর তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শাস্ত্র অনেক উপায়ে এর উপর গুরুত্বারোপ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, পূরাতন নিয়মের শুচিতার উপর অনেকগুলো ব্যবস্থা মৃত জিনিসের সংষ্পর্শে থাকাকে অশুচি হিসাবে ঘোষনা করার দ্বারা এটাকে অসামঞ্জস্য হিসাবে উল্লেখ করেছে (গণনাপুস্তক ১৯:১১-২২ পদ দেখুন)।
তাই, ঈশ্বরের সাথে অনন্তকালীন আশির্বাদে চিরকাল থাকার আমাদের শারিরীক দেহগুলাকে অবশ্যই ঈশ্বরের শক্তি দ্বারা মুতদের পুনরুত্থানে অবিনশ্বর করতে হবে। যখন তুরী ধ্বনী হবে এবং যীশু আগমন করবেন তখন এটা হবে। সেই দিনে সকল বিশ্বাসীরা, এমন কি আমাদের প্রভুর আগমনের আগে যারা মারা যান নি তারা গৌরবান্বিত দেহ লাভ করবে (১ করিন্থীয় ১৫:৫১-৫২)। ম্যাথিউ হেনরী বলেছেন যে, তুরী ধ্বনী হলো “খ্রীষ্টের বিচারাসনে হাজির হওয়ার জন্য সকল জীবিত এবং মুতদের জন্য উচ্চ স্বরের আহবান। এই উচ্চ ধ্বনীতে কবরগুলো খুলে যাবে, মৃত সাধু ব্যক্তিরা অক্ষয় দেহ নিয়ে উঠবে, এবং জীবিত সাধুরাও সেই অনুরুপ অক্ষয় দেহে পরিবর্তিত হবে। ”
ঈশ্বরের মুখ
ঈশ্বর প্রাথমিকভাবে পার্থিব এই জগত সৃষ্টি করেছিলেন তা ছিল উত্তম। তাই, এই পার্থিব জগত থেকে রেহাই পাওয়া পরিত্রাণের লক্ষ্য নয় কিন্তু চুড়ান্ত রুপান্তরের মধ্যদিয়ে এই পার্থিব জগতের একটি গৌরবান্বিত অবস্থায় উন্নীত হওয়াই হলো লক্ষ্য, যা পাপের প্রভাব থেকে মুক্ত। বিশ্বাসী হিসাবে, যখন আমরা ঈশ্বরের এবং তাঁর ব্যবস্থার বাধ্যতায় থাকি তখন আমাদের এই পার্থিব জগতে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নাই বা এটিকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নাই।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।