


শেষ তূরীধ্বনীর শব্দ
15-05-2025


জীবনদায়ক আত্না
22-05-2025স্বর্গীয় ব্যক্তি


“ আর আমরা যেমন সেই মৃন্ময়ের প্রতিমূর্তি ধারণ করিয়াছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্তিও ধারণ করিব” (৪৯ পদ)।
প্রথম শতাব্দির মণ্ডলীর একটি প্রধান সমস্যা ছিল এই যে, আত্নাতে জীবন কেমন হবে তা তারা খুবই ভূল বুঝেছিল। তারা মনে করতেন যে, যারা বিশেষভাবে যুক্তি তর্কের সাথে প্রচারের সাথে জড়িত আছেন তারাই সত্যিকারের আত্নিক লোক (১-৩ অধ্যায়)। তারা আরও এও বিশ্বাস করতেন যে, আত্নিক লোকদের তাদের দেহ নিয়ে এত বেশী উদ্ধিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নাই এবং তারা পতিতা ভাড়া করতে পারেন বা কোন রকম ক্ষতি ছাড়াই পৌত্তলিকদের পুজায় অংশগ্রহণ করতে পারেন (৬:১২; ৮-১০)। তারা আরও বিশ্বাস করতেন যে, তারা আত্নিক পরিপূর্ণতায় অস্তিত্বে প্রবেশ করেছে, তাই তারা প্রত্যাশা করেনি যে, তাদের দেহকে মৃত্যু থেকে উত্থাপিত হতে হবে (১৫:১-৪৫)।
সার কথা হলো এই যে, করিন্থীয় মণ্ডলীর লোকেরা এমন ধারণা পেয়েছিল যে, যা ধর্মতত্ত্ববিদরা “পরকালতত্ব সম্পর্কে বেশী বুঝা” বলে আখ্যায়িত করেন, এটা এমন একটা বিশ্বাস যেখানে তারা মনে করেছে যে, তারা সৃষ্টির চুড়ান্ত অবস্থায় প্রবেশ করেছে এবং তারা আর পুরাতন ধারার কাছে বন্দি নন। ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায়ে পৌলের গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হলো এই যে, অবশ্যই যে জীবন আমরা পাব – অনন্ত জীবন, গৌরবান্বিত অস্তিত্ব-যতক্ষণ না খ্রীষ্ট তাঁর লোকদের পুনরুত্থানে তাদেরকে গ্রহণ করতে না আসবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এটা পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারি না। সেই দিনে, আমরা আজকের এই শাস্ত্রাংসটি দেখব যে, আমরা যীশুর মতো হব।
প্রথম আদম ছিল একজন ধুলার মানুষ, ক্ষয়শীল এবং তিনি সম্পূর্ণভাবে পবিত্র আত্নায় পরিচালিত ছিলেন না। তাই, সমস্ত লোক যারাই সেই আদমে আছে, তারা সকলেই ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসের বাইরে আছে। শেষের আদম হলেন স্বর্গ থেকে, গৌরবান্বিত, পবিত্র আত্নার দ্বারা এমন কি তাঁর মাংসেও রুপান্তরীকৃত। যেহেতু তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন, মুত্যু আর কখনই তাঁকে ছুঁতে পারবে না (৪৬-৪৮ পদ)। আজকের শাস্ত্রাংসে আমরা যা পাই তা হলো বাইবেল ভিত্তিক এনথ্রোপলজির বিষয়ে আরেকটি সাধারণ প্রতিফলন, যেমন আমরা রোমীয় ৫:১২-২১ পদেও এমন বিষয়টি দেখতে পাই। ঈশ্বরের বিচারাসনের সামনে, কেবলমাত্র দুই ধরণের লোক থাকবে: যারা আদমে আছেন এবং যারা খ্রীষ্টেতে আছেন। যারা আদমে আছেন তারা অনন্ত মৃত্যুর অধীন। যারা খ্রীষ্টেতে আছেন তারা অনন্ত জীবনে আছেন।
তথাপি, আমরা যারা খ্রীষ্টেতে আছি, যদিও অনন্ত জীবনের অধিকার আমাদের আছে, আমরা আমাদের পুনরুত্থানে এটা পরিপূর্ণভাবে উপভোগের জন্য অপেক্ষা করি। আমরা নিশ্চিতভাবে, শেষ দিনে যখন আমরা উত্থাপিত হয়ে আমাদের নূতনীকৃত এবং রুপান্তরীত দেহ হবে সেই দিন আমরা “সেই স্বর্গীয় ব্যক্তি প্রতিমূর্তি ধারণ করব” । আমরা এখনও পরিপূর্ণভাবে জানি না যে এটা দেখতে কেমন হবে, কিন্তু আমরা জানি যে আমরা তাঁর মতো হব (১ যোহন ৩:২)। সেই দিন এখনও আসে নি কিন্তু আসিতেছে। জন কেলভিন মন্তব্য করেছেন: “কেননা এখন আমরা খ্রীষ্টের প্রতিমূর্তি ধারণ করছি, এবং প্রতিদিনই আমরা তাঁর সাদৃশ্যে আরও বেশী রুপান্তরিত হতে থাকব; কিন্তু সেই প্রতিমূর্তি আত্নিক পুনজন্মের সাথে অতোপ্রতোভাবে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু তখনই এটা দেহ এবং আত্নায় পরিপূর্ণভাবে পুনস্থাপিত হবে, এবং এখন যা শুরু হয়েছে তা নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হবে, এবং এখন আমরা যে বিষয়ের প্রত্যাশা করছি তা বাস্তবে ধারণ করব। ”
ঈশ্বরের মুখ
২ করিন্থীয় ৩:১৮ পদে পৌল আমাদেরকে বলেন যে, আমরা প্রতিনিয়ত খ্রীষ্টের প্রতিমূর্তিতে রুপান্তরিত হচ্ছি, যতক্ষণ না আমাদের গৌরবান্বিত হওয়ার প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন না হবে আমরা আরও বেশী তাঁর মতো হয়ে উঠায় বৃদ্ধি পাচ্ছি। খ্রীষ্টেতে যদি আমাদের জন্য কোন সান্ত্বনা থাকে, এর অর্থ হলো এই যে, আমাদের প্রেম, কাজ, চিন্তা, এবং এমন আরও কিছু আরও বেশী তাঁতে রুপান্তিত হচ্ছে। খ্রীষ্ট আমাদেরকে রুপান্তরিত করছেন, তাই আসুন আমরা তাঁর মতো হওয়ার চেষ্টা করি।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।