A People Most to be Pitied
মনুষ্যদের মধ্যে অধিক দুর্ভাগা
03-06-2025
Paul Changes his Travel Plans
পৌল তার যাত্রার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন
10-06-2025
A People Most to be Pitied
মনুষ্যদের মধ্যে অধিক দুর্ভাগা
03-06-2025
Paul Changes his Travel Plans
পৌল তার যাত্রার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন
10-06-2025

খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের অত্যাবশ্যকীয়তা

The Necessity of Christ's Resurrection

১ করিন্থীয় ১৫:১২-১৬

“কেননা মৃতগণের উত্থাপন যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও উত্থাপিত হন নাই” ( ১৬ পদ)।

খ্রীষ্টের শারীরিক পুনরুত্থানকে পৌল এবং করিন্থীয় মণ্ডলীর লোকেরা যারা ভবিষতের পুনরুত্থানকে অস্বীকার করতো তাদের উভয়েরই জন্যই একটি কমন বিশ্বাস হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে (১ করিন্থীয় ১৫:১-১১), আজকের শাস্ত্রাংশে প্রেরিত পৌল খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের প্রয়োজনীয় পরিনতির দিকে দৃষ্টিপাত করেছেন। আমরা দখতে পাব যে, মৃত্যু থেকে শারীরিকভাবে খ্রীষ্টের উত্থিত হওয়া তাঁর লোকদের শারীরিক পুনরুত্থানকেই সমর্থন করে। আমরা একটিকে ছাড়া অন্যটিকে লাভ করতে পারি না।

পৌল ১ করিন্থীয় ১৫:১২-১৩, ১৬  পদগুলোতে এই বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেন যে যীশুর পুনরুত্থানের ঘোষনার ফলশ্রুতিতে আমরা পুনরুত্থিত হব না এমন সারাংশ করা যুক্তিসঙ্গতভাবেই অসম্ভব (১২ পদ)। বস্তুত, বিশ্বাসীদের যদি কোন পুনরুত্থান না থাকে, তবে, খ্রীষ্ট, বস্তুত পুনরুত্থিত হন নি (১, ১৬ পদ)। যীশুর পুনরুত্থান বিশ্বাসীদের পুনরুত্থানের জন্য কেন অত্যাবশ্যকীয়, এবং বিশ্বাসীদের পুনরুত্থান যীশুর পুনরুত্থানের জন্য কেন প্রয়োজন তা বোঝার জন্য, আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে যীশু যা কিছু করেছেন তা তিনি তাঁর লোকদের জন্য করেছেন। গালাতীয় ২:২০ পদের মতো শাস্ত্রাংসের উপর ভিত্তি করে, আমরা এই মহামূল্যবান সত্যের সাথে পরিচিত হই যে যারা তাঁকে বিশ্বাস করেন যীশু তাদের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা যদি সতর্ক না হই, তবে আমরা এটা ভুলে যেতে পারি যে যীশু আবার আমাদের জন্য উত্থাপিতও হয়েছেন। আমাদের প্রভু বলেন, তাঁর লোকদের পাওনা “ধার্মিকের পুনরুত্থানের সাথে” পরিশোধিত হয়েছে (লূক ১৪:১৪ ), কিন্তু  অবশ্যই উত্তরাধিকার সুত্রে আমরা কেউই পাপের কারণে ধার্মিক নই। যীশু, সমস্ত জীবিতদের মধ্যে একমাত্র সত্যিকারের ন্যায়বান বা ধার্মিক ব্যক্তি। কেননা ধার্মিকের পুনরুত্থান সংঘঠিত হওয়ার জন্য, তাঁকে অবশ্যই উত্থিত হওয়া উচিত, এবং যেহেতু তিনি উত্থাপিত হয়েছেন, কেবলমাত্র বিশ্বাসের দ্বারা যারাই তাঁর সাথে যুক্ত আছেন সেই সকলকেই ধার্মিক পরিগনিত করা হয়েছে এবং তারাই উত্থিত হবে। ভবিষতে আমাদের শারীরিক পুনরুত্থানকে অস্বীকার মানে হলো খ্রীষ্টের পুনরুত্থান যে আমাদের দেহ এবং আত্নাকে মুক্ত করেছে তা অস্বীকার করা, এবং তাঁর পুনরুত্থান যদি আমাদেরকে দেহে মুক্ত না করে থাকে- আমাদের দেহের পুনরুত্থানে মিশে যাওয়ার জন্য- তবে তাঁর পুনরুত্থান কখনই হয় নি। সর্বপরী, যীশু হলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যিনি মাংসে মূর্তিমান (যোহন ১:১-১৪), এবং তিনি যে সমস্ত কিছু করেন অবশ্যই তা সার্থক হবে। আমাদের ধার্মিকতার নিমিত্ত-আমাদের পরিত্রাণের নিমিত্ত যীশু পুনরায় উঠেছেন- এবং যেহেতু তিনি পুনরায় উত্থিত হয়েছেন, যারা তাঁর উপর নির্ভর করে, তারাও উত্থিত হবে। 

আমরাও উত্থিত হব, এটা অস্বীকার করার অর্থ হলো এটা বলা যে, যীশু উত্থিত হন নি, কেননা যীশু আমাদেরকে প্রাচুর্যের জীবন দেওয়ার জন্য এসেছেন- প্রথম আত্নিকভাবে, এবং শেষে শারীরিকভাবেও। যীশু যদি উত্থিত না হয়ে থাকন, তবে আমাদের প্রচার এবং বিশ্বাস বৃথা, এবং এমনকি সবচেয়ে খারাপ, এবং আমরা যখন বলি যে, তিনি যীশুকে মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়াছেন তখন আমরা ঈশ্বর সমন্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিই (১ করিন্থীয় ১৫:১৪-১৫)। অন্য কথায়, আমরা ঈশ্বর নিন্দা করি।

ঈশ্বরের মুখভবিষতের শারীরিক পুনরুত্থান খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসের একটি আপোষের বিষয় নয়। আমরা যদি এটাকে অস্বীকার করি, তবে আমরা যীশুর পুনরুত্থানকেও অস্বীকার করি। এটাই একটি কারণ যে আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাসে দৃঢ়ভাবে দাড়িঁয়ে থাকতে হবে, যীশু এখনও ফিরে আসেন নি এবং আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে না দেখব এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দেহগুলো মৃত্যু থেকে উত্থিত না হবে, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় পরিত্রাণ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে না। একজন খ্রীষ্টিয়ান হওয়ার মানে হলো আমাদের দেহের পুনরুত্থানকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা।

 

এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।