


খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের অত্যাবশ্যকীয়তা
05-06-2025


স্তিফান, ফর্তুনাত, এবং আখায়িক
12-06-2025পৌল তার যাত্রার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন



“ভাল, এইরূপ মানস করায় কি আমি চাঞ্চল্য প্রকাশ করিয়াছিলাম ? অথবা আমি যে সকল মনস্থ করি, সেই সকল মনস্থ কি মাংসের মতে করিয়া থাকি যে, আমার কাছে হাঁ হাঁ ও না না হইবে ? বরং ঈশ্বর যেমন বিশ্বাস্য, তেমনি তোমাদের প্রতি আমাদের বাক্য ‘হাঁ’ আবার ‘না’ হয় না ” (১৭-১৮ পদ)|
২করিন্থীয় পত্রের পৌলের যুক্তিকে বুঝতে হলে পৌলের যাত্রার পরিকল্পনা বুঝাটা গুরু্ত্বপুর্ণ। ১ করিন্থীয় ১৬:১-৯ পদ স্মরণ করুন, পৌল করিন্থীয় মণ্ডলী পুনরায় পরির্দশনের আগে মাকিদনিয়ায় মধ্যদিয়ে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, সেখান থেকে তিনি হয়তো যিরুশালেমে যেতে চেয়েছিলেন যেন দানসংগ্রহ দিয়ে সেখানকার কষ্টে থাকা মণ্ডলীগুলোকে সাহায্য করতে পারেন| যাই হউক, করিন্থীয়তে চলমান সমস্যার কারণে সেই পরিকল্পনা পরিবর্তিত হয়েছিল| ইফিষ থেকে মাকিদনিয়ার মধ্যদিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, পৌল হঠাৎ করে করিন্থীয়তে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ১ করিন্থীয় পত্রটি লিখেছিলেন| ২ করিন্থীয় ২:১ পদে পৌল এই পরিদর্শনকে একটি “মনোদুঃখ দায়ক পরিদর্শন,” হিসাবে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু এ বিষয়ে প্রেরিত পুস্তকে কিছু বলা হয় নি|
আজকের শাস্ত্রাংk থেকে, আমরা জানতে পারি যে, যেহেতু পৌল তার মনোদুঃখ দায়ক পরিদর্শনের পরে ইফিষের উদ্দেশ্যে করিন্থীয় ত্যাগ করছিলেন, তিনি তাদেরকে বলেছেন যে, তিনি তার মূল পরিকল্পনা যা ১ করিন্থীয় ১৬ অধ্যায়ে প্রণীত আছে তা পরিবর্তন করেছেন| করিন্থীয়তে ফিরে আসার আগে মাকিদনিয়ার মধ্যদিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, তিনি বলেছেন যে তার ইচ্ছা ছিল করিন্থীয়তে ফিরে আসা, এর পরে মাকিদনিয়ার মধ্যদিয়ে যাত্রা করা, এবং পরে যিহুদার মণ্ডলীর জন্য চাঁদা সংগ্রহের জন্য শেষ একবারের মতো করিন্থীয়তে পরিদর্শন করা (২ করিন্থীয় ১:১৫-১৬)। যাই হউক, ২ করিন্থীয় ১:১৭-১৮, ২৩ পদগুলো উল্লেখ করে যে পৌল তার সংশোধিত যাত্রার পরিকল্পনাটি অনুসরণ করেন নি| বস্তুত প্রেরিত পৌল তিনি করিন্থীয়তে ফিরে আসেন, যা প্রেরিত ২০ অধ্যায়ে পৌলের যাত্রার সময়ে ঘটেছিল| যদিও করিন্থীয়ের কথা উল্লেখ করা হয় নি| করিন্থীয়কে দুইবার পরিদর্শনের তার সংশোধিত পরিকল্পনা তার মনোদুঃখ দায়ক পরিদর্শনের ফলে পরিবর্তিত হয়েছিল অনেকটা তিনি যা ১ করিন্থীয় ১৬ অধ্যায়ে বলেছেন তার কাছাকাছি, যেখানে তিনি বলেছেন যে মাকিদনিয়ার মধ্যদিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পুনরায় একবার মাত্র করিন্থীয় পরিদর্শন করবেন|
এই পরিবর্তন করিন্থীয়দের দুঃখার্ত করেছিলে, কেউ কেউ পৌলের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল| এই কারণেই পৌল ২ করিন্থীয় ১:১৭-১৮ পদে তার সত্যবাদিতা এবং তার সৎ উদ্দেশ্যের উপর জোড় দিয়েছেন| তিনি দ্বিমনা লোক ছিলেন না, এই বিষয়ে তার আত্ন-বিশ্বাস তার এই উক্তিতে দেখা যায়, তিনি বলেছেন, ঈশ্বর যেমন নিশ্চিত বিশ্বস্ত, তার বাক্যও তেমনিই বিশ্বাসযোগ্য| পৌলের “মনোদুঃখ দায়ক পরিদর্শনের” পরে যখন তিনি তার ইচ্ছা ঘোষনা করেছিলেন, তিনি সত্যি সত্যি দুইবার করিন্থীয়তে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার নিয়ন্ত্রনের বাইরের বিষয়গুলো তাকে তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাধ্য করে| তার সততার কমতি ছিল না|
আমাদেরকে এই ঐতিহাসিক ঘটনার বিষয়গুলোকে মনে রাখা উচিত যেহেতু আমরা ২ করিন্থীয়ের পরবর্তী কয়েকটি সেকশান অধ্যয়ণ করব| তবুও আমরা কিছু ব্যবহারিক প্রয়োগ ছাড়া থাকব না| আমরা যদি প্রায়ই আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করি, অন্যরা আমাদেরকে সন্দেহ করতে পারে| আমাদেরকে খুব দ্রুত পরিকল্পনা পরিবর্তন করা উচিত নয়, কিন্তু পৌলের ক্ষেত্রে এটা এড়িয়ে যাওয়ার মতো ছিল না| এটা বিশেষভাবে নেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ| আমরা যখন আমাদের ইচ্ছাগুলো ঘোষনা করি তখন যদি আমরা সতর্ক হই, এবং তা অনুসরন করি, সেক্ষেত্রে লোকেদের জন্য আমাদেরকে বিশ্বাস করা সহজ হবে|
ঈশ্বরের মুখ
অনেক সময় এমন me বিষয় ঘটে যা আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে, এবং আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলোকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হই| যখন এই সমস্ত কিছু ঘটে তখন আমাদেরকে নিজের প্রতি কঠোর হওয়া উচিত হবে না| একই সময়ে, আমরা যখন পরিকল্পনা করি, আমাদেরকে অদেখা পরিস্থিতিগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং সমস্ত কিছুকে বিবেচনায় রাখতে হবে| এটি আমাদেরকে যাত্রার মাঝ পথে অনেক বেশী পরিবর্তন এবং সংশোধন করা থেকে আমাদেরকে সাহায্য করবে, এমন কি প্রভুতে এবং তাঁর বিধানে আস্থা রাখতেও আমাদেরকে সাহায্য করবে|
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।