


তাঁর গৌরব মহিমা দেখা
06-03-2025


আরাধনায় ঈশ্বরের গৌরব
13-03-2025মানুষের মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের মহিমা



“পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন। পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশির্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, ‘তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভুত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর। ”
যখন স্বর্গীয় মহিমার বিষয় আসে, সেক্ষেত্রে ঈশ্বর যে প্রধান একটি উপায়ে আমাদের এই জগতে তাঁর মহিমা প্রদর্শনের সংকল্প করেছেন তা মিশন হতে পারে। আমরা অবশ্যই মানুষের কথা বলছি। শুরু থেকেই ঈশ্বর তাঁর মহিমা প্রকাশ করতে চেয়েছেন এবং পুরুষ এবং নারীদের কাজের মধ্যদিয়ে তাঁর মহিমা প্রকাশ করতে চেয়েছেন।
আদিপুস্তক ১:২৭-২৮ পদ আমাদেরকে এই সত্যের প্রথম প্রমান প্রদান করে। এই শাস্ত্রাংশগুলো যেমন উল্লেখ করে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা পুরুষ এবং নারীদের তাঁর প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করেছেন। যদিও যুগ যুগ ধরে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তির প্রকৃত অর্থ নিয়ে অনেক বেশী আলোচনা হয়েছে, আমরা কমপক্ষে এটা বলতে পারি যে, আমাদেরকে সদাপ্রভুর প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করার অর্থ হলো এই যে আমরা পশুপাখী এবং সৃষ্টির মধ্যে আরও যত জিনিষ আছে তাদের চেয়ে আরও বেশী তাঁর মতো। ঈশ্বরের মতো, আমাদেরও মন এবং ইচ্ছা আছে। আমরাও যন্ত্রপাতি, শিল্প, এবং এমন অনেক কিছু সৃষ্টি করতে সমর্থ। আমরা সৃষ্টিকর্তাকে তাঁর সৃষ্টিতে আলোকপাত করতে পারি কারণ আমরা তাঁর মতো, এবং তাঁতে আলোকপাত করে আমাদেরকে তাঁর গৌরবের একটা কিছুতে আলোকপাত করতে হবে।
এটা আমরা কিভাবে করি? সেই একই শাস্ত্রাংশগুলো আমাদেরকে একটি নির্দেশনা প্রদান করে। খেয়াল করুন যে, আদিপুস্তক ১:২৮, পদে, মানুষকে “এই পৃথিবীর সমস্ত গমনশীল জীবন্ত প্রাণীর উপর কর্তৃত্ব” করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। পুরুষ এবং নারীদের সদাপ্রভুর উপ-শাসক হিসাবে অভিষিক্ত করা হয়েছে, শাসক হিসাবে যাদেরকে ঈশ্বরের কাছে, যিনি চুড়ান্ত শাসক, যিনি সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং সমস্ত কিছুর উপরে সার্বোভৌম্য তাঁর কাছে বশীভুত থেকে সৃষ্টির যত্ন নিতে হবে।
আধিপত্যের এই দায়িত্ব নিয়ে আমরা সৃষ্টির কাছে সদপ্রভুর সার্বোভৌমত্বের মহিমা প্রকাশ করি। অধিকন্তু, বিভিন্ন উপায়ে আধিপত্য নিজেকে প্রকাশ করে। এর মধ্যে, ফলবন্ত হওয়া এবং প্রজাবন্ত হওয়া, সন্তান জন্মদান এবং তাদেরকে ঈশ্বরের বাক্য জানার জন্য প্রস্তুত করে আরও বেশী ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি সৃষ্টি করা রয়েছে (আদিপুস্তক ১:২৮; দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৯)। আধিপত্যের মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের গৌরব দেখানোর মধ্যে সৃষ্টির তত্বাবধান এবং রক্ষনাবেক্ষণ রয়েছে (আদিপুস্তক ২:১৫), সমস্ত কিছুকে রক্ষনাবেক্ষণ এবং টেকসই করার জন্য সদাপ্রভুর পরিশ্রমের মতোই ফলবন্ত পরিশ্রমে সম্পৃক্ত হওয়া। আমাদের সাধারণ পেশার পরিশ্রমও এর মধ্যে রয়েছে কিন্তু এটি বর্ধিত পরিসরে নিয়ম শৃংখলা যেমন বিজ্ঞানও এর মধ্যে রয়েছে। যেমন Dr. R.C. Sproul প্রায়ই আদিপুস্তক ২, দেখে পর্যবেক্ষণ করতেন। প্রথম বিজ্ঞানী ছিলেন আদম কারণ তিনি পশুপাখীর নাম দিয়েছিলেন, তিনিই ছিলেন প্রথম যিনি শ্রেনীবিন্যাস করেন, জীবিত বিষয়সমুহের মধ্যে যা জীববিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে, যেভাবে লোকেরা সৌন্দর্য সৃষ্টি করার দ্বারা ঈশ্বরের মহিমার উপর প্রতিফলন করে থাকেন তা আমাদের উপেক্ষা করে যাওয়া উচিত হবে না। যে লোকদেরকে শাস্ত্রে প্রথম আত্নায় পরিপূর্ণ হিসাবে দেখা যায় তারা হলেন শিল্পকর বৎসলেল এবং অহলীয়াব। তাদের কাজ ছিল সমাগম তাম্বু এবং এর সমস্ত উপাদান যেগুলো ছিল বর্ণীল রংয়ের এবং মূল্যবান ধাতুর তৈরী করা, সেই সমস্ত কিছু্ই সৌন্দর্য এবং ঈশ্বরের মহিমার দিকে ইংগিত করে (যাত্রাপুস্তক ৩১৩:১-১১).
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।