


মানুষের মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের মহিমা
11-03-2025


মহিমা থেকে মহিমায়
21-03-2025আরাধনায় ঈশ্বরের গৌরব



“অতএব অকম্পনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি। কেননা আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ” (২৮-২৯ পদ)।
২য় কিরন্থীয় ৩ অধ্যায়ে পুরাতন নিয়মের মহিমার চেয়ে এর উপরে নূতন নিয়মের মহিমার প্রাধান্য সমন্ধে এবং এর চিরস্থায়িত্বের উপর জোড় দিয়ে অনেক কিছু বলা হয়েছে। অবশ্যই, মহিমার উপর শিক্ষা আমরা কেবলমাত্র ২ করিন্থীয় ৩ অধ্যায়েই পাই না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে ঈশ্বরের মহিমা এবং এ থেকে যে ব্যবহারিক প্রভাব সম্পর্কেও বলে। আমরা যেন মহিমার উপর বাইবেলের উপস্থাপনা এবং এটা কিভাবে আমাদের জীবনকে গঠন করা উচিত, তা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারি, তার জন্য এখন আমরা ২ করিন্থীয় এবং লিগনিয়্যার শিক্ষা সিরিজ থেকে নেওয়া ক্ষমতা এবং মহিমা এবং উপদেশকের বিষয়বস্তু বিষয়ে ড. আর, সি স্প্রোলের বার্তার উপর আমাদের পরবর্তী কয়েকদিনের ভক্তির উপর ভিত্তি করে আমাদের অধ্যয়নকে নিভিষ্ট করব।
খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস এবং অনুশীলণের একটি দিক যা ঈশ্বরের মহিমা বোঝার দ্বারা বিশেষভাবে আকৃতি পায় তা হলো সম্মিলিত আরাধনা। স্বর্গীয় মহিমা এবং যখন আমরা ঈশ্বরের লোকদের সাথে আরাধনায় প্রবেশ করি তখন যা ঘটে যখন এ বিষয়ে আমাদের একটি যথাযথ বোধগম্যতা থাকে, তখন প্রভুর প্রশংসার্থে আমাদের সমবেত হওয়া আমাদেরকে পরিবর্তন না করে থাকতে পারে না। ইব্রীয় ১২:১৮-১৯ হলো এই নূতন নিয়মের আরাধনাকে বুঝার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেহেতু আরাধনা হলো ঈশ্বরের মহিমার প্রতি একটি সাড়াদান।
ইব্রীয় পুস্তকের লেখক সিনয় পর্বতে, যখন ঈশ্বর তাঁর ব্যবস্থা দেওয়া জন্য তাঁর লোকদের সাথে দেখা করেন তখন যা ঘটেছে তার সাথে আমাদের নূতন নিয়মের আরাধনার সাথে বৈপরিত্য করেন। পৃথিবীতে সেই সাক্ষাত ঘটেছিল, যেমন যাত্রাপুস্তক ১৯ অধ্যায়ে বর্ণীত আছে এবং এটা ছিল অগ্নি, কৃষ্ণবর্ণ মেঘ, অন্ধকার এবং ঝড়সহকারে। সেই উপলক্ষে, লোকদেরকে একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখতে হয়েছিল, পাছে ঈশ্বরের পবিত্রতার কারণে ধ্বংস হয় (ইব্রীয় ১২:১৮-২১)। যাউক, যেহেতু ইব্রীয় পুস্তক এই বিষয়কে পরিষ্কার করে, সদাপ্রভু তাঁর লোকদের সাথে যেভাবে সাক্ষাত করেন যীশুর প্রায়শ্চিত্য সাধনের কাজ তা পরিবর্তিত করেছে। এখন, আমরা স্বর্গেই প্রবেশ করি, কেননা, আমরা “স্বর্গীয় যিরুশালেমে ….. এবং ধার্মিকগনের আত্না সিদ্ধতায়” উপস্থিত হই। আমরা প্রভুর আশ্রয়স্থানে তার স্বর্গীয় আবাসে তার দূতদের সহিত এবং সকল বয়সের সাধুদের সাথে মিলিত হই। আমরা হয়তো এই জগতে এটা সর্বদা আমাদের সম্মিলিত আরাধনা উপাসনায় অনুভব নাও করতে পারি, তবে আমরা সত্যিকারে ঈশ্বর এবং তাঁর মহিমার উপস্থিতিতে অনুভব করতে পারব। এই বিষয়ের আলোকে, আমার সাড়াপ্রদান কি হওয়া উচিত? ইব্রীয় ১২:২৮ আমাদেরকে বলে: আমাদেরকে “ভক্তি এবং ভয় সহকারে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য আরাধনা উপস্থিত করা উচিত”। আমাদের সম্মিলিত আরাধনা উপাসনাগুলো যথাযথভাবে ভাড়ী, এবং তিনি যে সম্মান পাওয়ার যোগ্য তা দেখানোর জন্য ডিজাইন করা উচিত। আমরা তাকে সবোর্চ্চ যা দিতে পারি তা নিয়েই অবশ্যই আমাদের তাঁর কাছে আসা উচিত আর তা হলো তাঁর ভয়াবহতা এবং মহিমার প্রতি শ্রদ্ধা।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।