


খ্রীষ্টে বিজয় যাত্রা
26-06-2025


পিতা এবং পু্ত্র হইতে অনুগ্রহ এবং শান্তি
03-07-2025সরলতা এবং স্বর্গীয় আন্তরিকতা



“কারণ আমাদের শ্লাঘা এই, আমাদের বিবেক সাক্ষ্য দিতেছে যে, ঈশ্বর-দত্ত পবিত্রতায় ও সরলতায়, মাংসিক বিজ্ঞতায় নয়, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহে, আমরা জগতের মধ্যে এবং আরও বাহুল্যরূপে তোমাদের প্রতি আচরণ করিয়াছি;”( 12 c`)|
আমরা দেখেছি যে, করিন্থে পৌলের মনোঃদুখজনক পরিদর্শণ এবং মণ্ডলীকে একটি অনুযোগের পত্রের পরে ২ করিন্থীয় পত্রটি লেখা হয়েছিল| সেই পরিদর্শন এবং পত্রের পরে (২ করিন্থীয় ৭), যদিও মণ্ডলী তার ব্যবহারের জন্য অনুশোচনা করেছিল এবং পৌল এবং করিন্থীয়দের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হয়েগিয়েছিল তবুও কিছু উত্তেজনা থেকে গিয়েছিল| এর মধ্যে একটি বিষয় ছিল, পৌলের যাত্রা পরিবর্তনের কারণে তার সমন্ধে অভিযোগ যে, তিনি আন্তরিক ছিলেন না এবং তিনি তার কথা রাখেন নি| আজকের শাস্ত্রাং‡k, প্রেরিত সেই সমস্ত অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন|
পৌল তার যাত্রার পরিবর্তনের বিষয়ে কথা না বলে, বরং তার মনোভাব এবং কেন তিনি এমন করেছেন এই সমন্ধে বলে পরোক্ষভাবে তার উত্তর দেওয়া শুরু করেন| ২ করিন্থীয় ১:১২ c‡` তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তার বিবেক ছিল পরিষ্কার কারণ তিনি তার পরিচর্যাতে “ঈশ্বর-দত্ত পবিত্রতায় ও সরলতায়, মাংসিক বিজ্ঞতায় নয়, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহে” কাজ করেছেন| অন্য কথায়, তিনি যাদেরকে পরিচর্যা করতেন তাদেরকে ভুলানোর জন্য তিনি কোন চালাকী বা ধূর্ত আত্নার দ্বারা এই সিদ্ধান্ত নেন নি| পৌল একজন আন্তরিক মানুষ ছিলেন না, যিনি জানেন যে, তিনি করতে পারবেন না তবুও এমন পরিকল্পনা করেন| তিনি কখনই ধোকা দিতে চান নি বা তার নিজের নকশা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চান নি|
যীশু তাঁর লোকদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যেন তারা “কবুতরের ন্যায় অমায়িক এবং সর্পের ন্যায় সতর্ক থাকে” (মথি. ১০:১৬), এবং করিন্থীয়দের কাছে নিজের ব্যবহার সমন্ধে পৌলের বর্ণনা প্রভুর শিক্ষাকে চিত্রায়িত করে| পৌল বোকা ছিলেন না| তিনি তার চিন্তায় পরিপক্ক এবং এই পাপময় জগতের বিষয়সমুহ সমন্ধে বিজ্ঞ ছিলেন (১ করিন্থীয় ১৪:২০)| কিন্তু তিনি এমন একজন ছিলেন না যিনি নিজের সুবিধার জন্য বা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে অন্যদের হতাশ করার জন্য বিষয়গুলোকে ব্যবহার করেন| তিনি ছিলেন “অমায়িক,” তিনি যা দেখতে পেতেন তা অনুসারে পরিকল্পনা তৈরী করতেন| তিনি জানতেন যে, তিনি সেগুলোতে খুব বেশী শক্ত করে ধরে থাকতে পারবেন না| যখন অপ্রতাশ্যিত পরিস্থিতি উদয় হয়েছে তিনি তার ভ্রমন পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে ভয় পান নি, এমনকি যা তিনি প্রত্যাশা করেন নি এমন ঘটনাগুলোতেও ঈশ্বর যে কাজ করছেন তা সমন্ধে তিনি আত্ন-বিশ্বাসী ছিলেন
এমন কি তিনি যখন ২ করিন্থীয় পত্রটি লিখেছেন, কেউ কেউ তাকে প্রশ্ন করছিলেন, করিন্থীয়দের কাছে এটাই যে প্রমান ছিল তা প্রেরিত পৌল শক্তভাবে বিশ্বাস করেছেন| এই কারণে তিনি বলেন যে, করিন্থীয় বিশ্বাসীরা কমপক্ষে আংশিকভাবে তাকে বুঝতে পেরেছে| এমন কি তিনি আরও আত্ন-বিশ্বাসী ছিলেন যে, তারা তা খ্রীষ্টের আগমনের সময় সম্পূর্ণভাবে জানবে, যখন পৌলের আন্তরিকতা প্রচাররুপে স্বীকৃত হবে (২ করিন্থীয় ১:১৩-১৪)| আসুন আমরা আমাদের কাজে আন্তরিক এবং ধার্মিক হই যেন আমাদের বিবেক আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে কোন প্রশ্ন করতে না পারে| আমরা যেহেতু এমন করি, তা সকলের কাছে একটি প্রমান হবে যে আমরা প্রভুর কাছে আমাদের মনোভাবে সত্য|
ঈশ্বরের মুখ
আমাদের কাছে নিজেদেরকে প্রতারিত করা এবং অশুভ উদ্দেশ্যগুলোকে আন্তরিক হিসাবে ভুলভাবে দেখা খুব সহজ হতে পারে| বরং, আসুন আমরা আন্তরিকতায়, সরলতায়, এবং স্বর্গীয় প্রজ্ঞায় প্রাণপনসহকারে কাজ করতে সর্বদা নিজেদেরকে উৎসাহিত করি| আমরা আমাদের লক্ষ্য সমন্ধে অন্যদের সাথে যত বেশী স্বচ্ছ হব, এবং আমরা তাদেরকে সেবা করতে যতবশী ইচ্ছুক হব, আমরা ততবেশী আন্তরিক হয়ে উঠব|
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।