


দ্য ম্যান অব ওয়ার
04-03-2025


মানুষের মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের মহিমা
11-03-2025তাঁর গৌরব মহিমা দেখা


“প্রিয়তমেরা, এখন আমরা ঈশ্বরের সন্তান; এবং কি হইব, তাহা এই পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নাই। আমরা জানি, তিনি যখন প্রকাশিত হইবেন, তখন আমরা তাঁহার সমরূপ হইব; কারণ তিনি যেমন আছেন, তাঁহাকে তেমনি দেখিতে পাইব।”
আশ্চর্যজনকভাবে এবং শুধুমাত্র ঈশ্বরের অনুগ্রহের দ্বারা, প্রত্যেকবারই যখন আমরা সম্মিলিত আরাধনায় মিলিত হই তখন আমরা ঈশ্বরের মহিমান্বিত উপস্থিতিতে প্রবেশ করি (ইব্রীয় ১২:১৮–১৯)। অধিকন্তু, সদাপ্রভুর নিজস্ব মহিমা রয়েছে, যদিও তা তিনি অন্যদের দিবেন না (যিশাইয় ৪৮:১১), তিনি সমস্ত সৃষ্টির কাছে তাঁর মহিমার কিছু বিষয় প্রকাশ করার জন্য মানুষকে তাঁর নিজের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করেছেন (আদিপুস্তক ১:২৬-২৭)। যাই হোক, এই সমস্ত কিছুর মানে এই নয় যে, আমরা এখনই এই স্বর্গীয় মহিমার সম্পূর্ণ দর্শন বা অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। সেই দিন আসিতেছে, কেননা চুড়ান্ত পুনরুত্থানে এবং শেষে আমরা সম্পূর্ণ পূর্ণতায় ঈশ্বরকে এবং তাঁর মহিমাকে দেখতে পাব (১ যোহন ৩:২)।
বাইবেল আমাদের কাছে ঈশ্বরের এবং তাঁর মহিমার সুন্দর এবং সরাসরি দর্শনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, কিন্তু এটি দেখতে কেমন হবে এসম্পর্কে এটি আমাদের কাছে একটি সম্পূর্ণ ছবি প্রদান করে না। আমরা একটি আত্নিক দেহে, দেহের পুনরুত্থান সম্পর্কে জানি- এমন একটি দেহ যা পবিত্র আত্না দ্বারা গৌরবান্বিত, যেখানে পাপ এবং পাপের প্রভাবের কোন উপস্থিতি দুরীভুত- যা ঈশ্বরের দর্শনের পরিপূর্ণভাবে প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। ১ করিন্থীয় ১৫:৩৫-৫৬, সম্প্রতি আমরা যেমন দেখেছি, এই শাস্ত্রাংসটি হলো সকল শাস্ত্রের মধ্যে পুনরুত্থানকে ভালভাবে বুঝার জন্য সবচেয়ে বোধগম্য একটি শাস্ত্রাংস, কিন্তু এটা আশ্চর্য যে আমাদের পুনরুত্থিত দেহ দেখতে কেমন হবে এসমন্ধে এটি আমাদেরকে যথেষ্ট তথ্য দেয় না। এখানে আমরা যা দেখতে পাই তা হলো যদিও সেখানে আমাদের বর্তমান দেহ এবং পুনরুত্থিত দেহের মধ্যে বিরতি থাকবে, তথাপি সেখানে ধারাবাহিকতা থাকবে। পুনরুত্থান, কিছু অর্থে, আমাদের এখন যা আছে তার ধারাবাহিকতাকে অন্তর্ভুক্ত করে। খ্রীষ্টিয় পরিত্রাণ চুড়ান্তভাবে দেহ থেকে পরিত্রাণ নয়, অথবা দেহ থেকে আত্নার চুড়ান্ত পালিয়ে যাওয়া নয়, যেমন প্রাচীন গ্রীকেরা অন্বেষণ করতেন। এর পরিবর্তে, এটা হলো দেহের পরিত্রাণ, এখন আমরা ধারণ করি তার পবিত্রকরণ এবং রুপান্তরকরণ যেন এটা পাপের শাস্তি থেকে স্বাধীন হয় এবং ঈশ্বরের উপস্থিতির সামনে অনন্তকাল যোগ্যরুপে জীবন যাপন করতে পারে।
আমাদের গৌরবান্বিত অবস্থায়, আমরা ঈশ্বরকে সম্মুখা সম্মুখি দেখব (আরও দেখুন ১ করিন্থীয় ১৩:১২ )। কিন্তু যেহেতু সদাপ্রভু অদৃশ্য এবং আমরা তাঁকে আমাদের শারীরিক চোখ দিয়ে দেখতে পারি না তাই এটা কিভাবে সম্ভব হবে (১ তিমথীয় ১:১৭)? এখানে, আবার, শাস্ত্র আমাদেরকে একটি পুর্ণ ব্যাখ্যা দেয় না। শতশত বছর ধরে, ধর্মীয় পন্ডিতগণ এটি কিভাবে সম্ভব হতে পারে এসমন্ধে পরামর্শ দিয়েছেন। যোনাথন এডওয়ার্ড বলেছেন যে, সম্ভবত আমাদের মনের দ্বারা ঈশ্বরের দর্শন হবে তাঁর সমন্ধে তাৎক্ষনিক উপলদ্ধি। অর্থাৎ, বাইবেলে এমন কিছুই নাই যেখানে বলা হয়েছে, ঈশ্বর আমাদের চোখকে এড়িয়ে যেতে পারেন না যেন আমাদের মন এবং মনের সক্ষমতাগুলো ব্যবহার করে তাঁর সাথে আমাদের সরাসরি মুখোমুখি হয়। এটা এমন হবে কি না, আমরা তা জানি না, কিন্তু আমরা এটা জানি যে আমরা ঈশ্বরকে দেখব, এবং তবেই তাঁকে দেখার আমাদের হৃদয়ের গভীর আকাংখা চিরকালের জন্য পরিতৃপ্ত হবে।
Coram Deo (ঈশ্বরের মুখ)
ঈশ্বরের দর্শন যেহেতু মানুষের সবচেয়ে উচ্চ অন্তিম ইচ্ছা, সেই দর্শন অবশ্যই আমাদের কল্পনার অতীত অনেক বেশী মহিমান্বিত, সুন্দর, এবং পরিতৃপ্তির হবে। এই জীবনের সবচেয়ে ভাল অভিজ্ঞতাগুলোও ঈশ্বরকে দেখা কেমন হবে তার সাথে তুলনীয় হবে না। আমরা কি সত্যিই তা বিশ্বাস করি? আমরা কি ঈশ্বরের মুখ দেখার জন্য আকাংখা করি? আসুন আমরা প্রভুর অন্বেষণ করি এবং আমরা তাঁকে প্রতিনিয়ত অনুরোধ করি যেন তিনি যেমন তেমনই তাঁকে দেখার আকাংখা আমাদেরকে দান করেন।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।