Paul's Severe Letter to Corinth
করিন্থীয়দের প্রতি পৌলের কঠিন চিঠি
15-04-2025
The Purpose of Prayer
প্রার্থনার উদ্দেশ্য
22-04-2025
Paul's Severe Letter to Corinth
করিন্থীয়দের প্রতি পৌলের কঠিন চিঠি
15-04-2025
The Purpose of Prayer
প্রার্থনার উদ্দেশ্য
22-04-2025

ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলো খ্রীষ্টেতে পূর্ণ হয়েছে

God's Promises Fulfilled in Christ

২ করিন্থীয় ১:১৯-২২

“কারণ ঈশ্বরের যত প্রতিজ্ঞা, তাঁহাতেই সেই সকলের ‘হাঁ’ হয়, সেই জন্য তাঁহার দ্বারা ‘আমেন’ও হয়, যেন আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব হয়” (২০ পদ).

পৌলের জীবনের এবং ভাবনার কেন্দ্রে খ্রীষ্ট এত বেশী ছিলেন যে, প্রেরিত আপাতদৃষ্টিতে কোন সাধারণ বিষয় বলতে গেলেও খ্রীষ্টের সম্পর্কে বলতেন। তা আমরা আজকের শাস্ত্রাংশে দেখতে পাই। পৌল তার বিরুদ্ধে অভিযোগকে প্রতিহত করার জন্য যে যাত্রার পরিবর্তনের বিষয় উল্লেখ করছিলেন, তিনি বলছিলেন এমন পরিবর্তন তাকে অবিশ্বসনীয় অথবা দ্বি-মনা লোকে পরিনত করেছে। ২ করিন্থীয় ১:১৮ পদে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে, করিন্থীয়দের প্রতি তার “বাক্য” ছিল সত্য এবং বিশ্বস্ত, এবং এটা বলতে গিয়ে তিনি ১৯-২২ পদে ঈশ্বর হইতে আগত আরও মহান “বাক্য” – তাঁর পুত্র, যীশু খ্রীষ্ট সম্পর্কে বলেছেন (যোহন ১:১-১৮) পদ দেখুন।

পৌল তার “বেদনা দায়ক পরিদর্শনের” সময় ব্যক্তিগত উপস্থিতি করিন্থীয় খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের তিরষ্কারের পরে যখন সত্যিকারে দুইবার করিন্থ পরিদর্শনের তার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি মিথ্যা কথা বলছিলেন না (২ করিন্থীয় ২:১;  ১:১৫-১৭ পদ দেখুন), এবং তিনি, সীল এবং তিমথীয় যখন তাদের কাছে খ্রীষ্টকে প্রচার করেছেন তিনি তাদের কাছে মিথ্যা বলেন নি বা দ্বি-মনা ছিলেন না। অর্থাৎ কেননা খ্রীষ্টেতে “সর্বদাই হ্যাঁ” (১:১৯)। পৌল এখানে যীশু খ্রীষ্টের বিশ্বাসযোগ্যতা, “বিশ্বস্ততা এবং সত্যটা” নিশ্চিত করেছেন (প্রকাশিতবাক্য ১৯:১১ দখুন)। খ্রীষ্ট যার বিষয়ে পৌল প্রচার করেছেন, তিনি সত্য মশীহ। পৌল করিন্থীয়দের এটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কারণ, মিথ্যা প্রেরিতেরা অন্য খ্রীষ্টকে প্রচার করার দ্বারা করিন্থীয় মণ্ডলীতে সমস্যা সৃষ্টি করছিল যা আমরা দেখতে পাই্ (২ করিন্থীয় ১১:৩-৪)।

খ্রীষ্ট স্বয়ং নিঁখুতভাবে শুধুমাত্র সত্য নয়, কিন্তু তিনি ঈশ্বরের সকল প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা এবং সার। “কারণ ঈশ্বরের যত প্রতিজ্ঞা, তাঁহাতেই সেই সকলের ‘হাঁ’ হয়, সেই জন্য তাঁহার দ্বারা ‘আমেন’ও হয়, যেন আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব হয়।” আমাদের সৃষ্টিকর্তা কিভাবে তাঁর পরিত্রাণের পরিকল্পনা পূর্ণ করেছেন এবং কিভাবে তিনি আমাদের পরিত্রাণ সাধন করবেন তা যদি আমরা জানতে চাই, তবে আমাদেরকে কেবলমাত্র খ্রীষ্টের দিকে দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন, যিনি তাঁর রক্ত দিয়ে আমাদের উদ্ধারকে ক্রয় করেছেন এবং তিনিই তাঁর পুনরাগমনে সৃষ্টিকে নূতন করবেন এবং পুনস্থাপন করবেন (রোমীয় ৩:২-৩১; ৮:১-৩০)। এই কারণেই আমরা “আমেন বলি”- আমরা খ্রীষ্টের মধ্যদিয়ে ঈশ্বরকে বলি, “তাই হউক” (২ করিন্থীয় ১:২০)। অন্যকথায়, আমরা ঈশ্বরের বিশ্বাসযোগ্যতাকে নিশ্চিত করি এবং নিশ্চিত করি যে, যীশুই হলেন আমাদের জন্য ঈশ্বরের পক্ষে হ্যাঁ এর মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের সাথে সম্মত হই যে, যীশুই হলেন প্রভু এবং ত্রানকর্তা। 

“হ্যাঁ” হিসাবে খ্রীষ্টের এই বিধান অথবা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাসমুহের পূর্ণতা এবং সাড়াপ্রদান সম্পূর্ণভাবে ত্রিত্ববাদী। পিতা ঈশ্বর তিনি প্রতিজ্ঞাসমুহ করেছেন এবং পুত্র ঈশ্বর হলেন এই প্রতিজ্ঞাসমুহের সার (২০ পদ)। পরে, পবিত্র আত্না ঈশ্বরের মধ্যেদিয়ে আমাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যিনি হলেন ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাসমুহের “নিশ্চয়তা” (২১-২২ পদ)। “নিশ্চয়তার” একটি ভাল অনুবাদ হলো “বায়না দেওয়া”। বায়না দেওয়া হলো যেমন পূর্ণ মূল্য পরিশোধের একটি অঙ্গিকার ঠিক তেমনি, পবিত্র আত্নার পূর্ণজন্মের কাজ এবং আমাদের হৃদয়ে তাঁর উপস্থিতি হলো একটি প্রমাণ যে গৌরবান্বিতকরণের সময় আমাদের পরিত্রাণ সম্পুর্ণভাবে সম্পন্ন হবে, যখন আমাদের দেহ এবং আত্না সম্পূর্ণভাবে নূতনীকৃত হবে।

ঈশ্বরের মুখ

ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টেতে তাঁর প্রতিজ্ঞাসমুহ ধারণ করেন। এই একটি কারণেই আমরা দৃঢ়ভাবে বলি যে, পরিত্রাণ একমাত্র ঈশ্বরের পুত্রতে এবং তাঁতে বিশ্বাসের মধ্যদিয়ে আসে। খ্রীষ্টের মধ্যদিয়ে ছাড়া আর কোন পথ নাই যেভাবে আমরা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাসমুহ পেতে পারি, এবং এই সত্য অন্যদের কাছে বলার জন্য আমরা দায়বদ্ধ।

 

এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।