


পুরাতন নিয়মের মহিমা
01-04-2025


শয়তানের নক&শাটা জানা
08-04-2025মৃত্যু সওদাকারী অক্ষর


“আমরা যে নিজেরাই কিছুর মীমাংসা করিতে নিজ গুণে উপযুক্ত, তাহা নয়; কিন্তু আমাদের উপযোগিতা ঈশ্বর হইতে উৎপন্ন; তিনিই আমাদিগকে নূতন নিয়মের পরিচারক, অক্ষরের নয়, কিন্তু আত্মার পরিচারক হইবার উপযুক্তও করিয়াছেন; কারণ অক্ষর বধ করে, কিন্তু আত্মা জীবনদায়ক” (৫-৬ পদ)।
অনেক লোকেরা বলেছেন যে, খ্রীষ্টিয় মণ্ডলী কখনও এর সুবর্ণ সুযোগ ভোগ করেছে যেখানে পাপ কোন সমস্যা সৃষ্টি করত না আমাদের এমন ভাবা কখনই উচিত হবে না। নূতন নিয়ম থেকে এটা পরিষ্কার যে, প্রাথমিক মণ্ডলীগুলোতেও সকল প্রকারের সমস্যা ছিল। করিন্থীয় মণ্ডলী হলো এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ, ১ এবং ২ কিরন্থীয় উভয়েই পৌল তার “ব্যাথাজনক পরির্দশণ” সমন্ধে যা বলেছেন তা বলে দেয় যে করিন্থীয় মণ্ডলীর বিশ্বাসীরা সাংঘাতিক পাপে লিপ্ত ছিল।
করিন্থীয় বিশ্বাসীদেরকে সংশোধন করার পৌলের কাজের, সেযাহউক, একটি প্রভাব ছিল। আমরা এটা ২ করিন্থীয় ৩, অধ্যায়ে দেখতে পাই যেখানে পৌল করিন্থীয়দেরকে তার সুপারিশ পত্র হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন যা তার মিনিষ্ট্রিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার যোগাযোগের ফলে যে পরিবর্তন হয়েছে তা তাদেরকে খাঁটি করেন নি, কিন্তু এটা খুবই পরিষ্কার যে পৌল আত্নবিশ্বাসী হতে পারতেন যে মণ্ডলীর লোকেরা তাঁর ঐশ্বরিকভাবে নিয়োগকৃত মিনিষ্ট্রির পর্যাপ্ত প্রমান হতে পারে। যেমন তিনি ৪ পদে লিখেন, “খ্রীষ্টের মধ্যদিয়ে ঈশ্বরের প্রতি” তার দৃঢ়বিশ্বাস ছিল কারণ করিন্থীয়দের জীবন প্রমাণ করে যে তারা ছিলেন আত্না হতে সুপারিশ পত্র (১-৩ পদ দেখুন). তথাপি, করিন্থীয়দের পরিবর্তনের জন্য পৌল নিজের প্রশংসা করেন নি বা তিনি যুক্তি দেন নি যে তিনি এমন পরিবর্তন সাধন করতে পারেন। কেবলমাত্র ঈশ্বরই তাঁর দাসদের কাজকে এমন কার্যকরী করতে পারেন (৫পদ)। যেমন আগষ্টিন হিপ্পো লিখেন, আমাদের উপযোগীতা ঈশ্বর হইতে হয়, তার শক্তিই আমাদের হৃদয় এবং চিন্তা।”
পরে, প্রেরিত বলেন যে তিনি পুরাতন নিয়মের নয় কিন্তু নূতন নিয়মের পরিচারক, এই বলে তিনি নূতন নিয়মের গুরুত্বের বিষয়ে কথা বলছেন (৬ পদ). তিনি বলেছেন যে তিনি “অক্ষরের নয় কিন্তু আত্নার” একজন পরিচারক। এটা আমাদের ২ করিন্থীয় ৩:৩ পদে ফিরিয়ে নিয়ে যায় এবং পাথরের উপরে কালি দিয়ে লেখা বাহ্যিক লেখার সাথে অভ্যন্তরিনভাবে হৃদয়ের উপর লেখা পবিত্র আত্নার দ্বারা রুপান্তরিত কাজের সাথে বৈপরিত্য করেছেন। পৌল এখানে ব্যবস্থার সাথে সুসমাচারের, মোশির প্রশাসনের সাথে খ্রীষ্টের প্রশাসনের বৈপরীত্য করেছেন । আত্নায় নূতন নিয়মের পরিচর্যা আরও ভাল কারণ আত্না জীবনদায়ক, কিন্তু পুরাতন নিয়মর অক্ষর বধ করে। পুরাতন নিয়মের ইতিহাসের যে কোন পাঠ পৌলের বৈপরী্ত্বের সাথে যথার্থতা প্রদর্শন করে। ব্যবস্থা ইস্রায়েলের প্রতি মৃত্যু নিয়ে আসে। সমস্ত জাতি হিসাবেই লোকেরা সুষ্পষ্টই ব্যবস্থার অবাধ্য হয়েছিল, এবং শেষে এর পরিনতি ছিল ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং প্রতিজ্ঞাত দেশে এর সাথে যে জীবনের নিশ্চয়তা ছিল তা থেকে নির্বাসন, “মৃত্যু” (২ রাজাবলী ১৭:৭-২৩; ২ বংশাবলী ৩৬:১৫-২১)। অবশ্যই, এটা ব্যবস্থার দোষ ছিল না কিন্তু পাপের, যা ঈশ্বরের উত্তম ব্যবস্থাকে বিকৃত করে মৃত্যু নিয়ে এসেছিল (রোমীয় ৭:৭-১২)। আমাদেরকে পুরাতন নিয়মের মৃত্যু সাধনকারী অক্ষরের দিকে এবং নূতন নিয়মে এর সমাধানের বিষয়ে আমাদের পরবর্তী অধ্যয়নের প্রতি আরও দৃষ্টিপাত করব।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।