Destroying the Sting of Death
মৃত্যুর হুলকে ধ্বংস করা
26-08-2025
Destroying the Sting of Death
মৃত্যুর হুলকে ধ্বংস করা
26-08-2025

সকল কিছুই খ্রীষ্টেতে বশীভুত করা

Subjecting All Things to Christ

১ করিন্থীয় ১৫:২৭-২৮

Óকারণ তিনি সকলই বশীভূত করিয়া তাঁহার পদতলে রাখিলেন।  কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সকলই বশীভূত করা হইয়াছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সকলই তাঁহার বশীভূত করিলেন, তাঁহাকে বাদ দেওয়া হইল। আর সকলই তাঁহার বশীভূত করা হইলে পর পুত্র আপনিও তাঁহার বশীভূত হইবেন, যিনি সকলই তাঁহার বশে রাখিয়াছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হনÓ।

খ্রীষ্টের পুনরুত্থান এবং তাঁর লোকদের ‍পুনরুত্থানের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সংযাগের কারণেই যারাই কেবলমাত্র খ্রীষ্টেতে নির্ভর করে তারা শেষ দিনে নিশ্চিতভাবে উত্থাপিত হবে এবং তারা সকলেই পুনরুত্থিত শারীরিক দেহগুলো লাভ করবে। খ্রীষ্টের আগমন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পুনরুত্থান হবে না, কেননা পুনরুত্থান একটি নির্ধারিত ক্রম শৃংখলা অনুসরণ করে: যীশুর পুনরুত্থান হলো তাঁর সমস্ত লোকদের জন্য পুনরুত্থানের অগ্রিমাংশ, যা প্রথমে আসে, এবং পরে তাঁর আগমনে আমরা সকলেই পুনরুত্থিত হব। এই সময়ের মধ্যে, যীশু শাসন করছেন এবং রাজত্ব করছেন, সমস্ত কিছুকেই তাঁর চরণে রাখছেন। মৃত্যু হলো সেই শেষ শত্রু যাকে তিনি সবার শেষে বশীভুত করবেন (১ করিন্থীয় ১৫:২০-২৬)।

আজকের শাস্ত্রাং‡k, প্রেরিত পৌল পুরাতন নিয়মের আলোকে খ্রীষ্টের রাজত্বকে বিশ্লেষন করেছেন। পৌল গীতসংহিতা ৮ এর উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন যা হলো ঈশ্বর যে, তাঁর সৃষ্টির উপর কর্তৃত্ব করার জন্য মানুষকে উচ্চ স্থান দিয়েছেন তার উপর প্রতিফলিত করে। প্রকৃতপক্ষে, সদাপ্রভু আদম এবং হবার উপর নির্ভর করেছেন যে তারা পৃথিবীর যত্ন নেবে। তিনি আমাদের প্রথম পিতা মাতাকে এবং তাদের বংশধ্বরদেরকে আদেশ দিয়েছেন সমস্ত সৃষ্টির উপর শাসন করার জন্য এবং বশীভুত করার জন্য (আদিপুস্তক ১:২৮)। পাপে পতনের পরেও এই আশির্বাদ চলমান থেকেছে (৯:৭), কিন্তু আমাদের পতিত অবস্থা ঈশ্বর যে নিখুঁত রাজত্ব এবং শাসন দাবী করেন তা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে গেল। তাই, ভাববাদিগণ একজন নূতন ব্যক্তির, শেষ আদমের জন্য অধীর আগ্রহে অপক্ষো করেছেন, যিনি কোন কোন প্রকার পাপ বা ত্রুতি ছাড়াই শাসনভার গ্রহণ করেন এবং শাসন করেন। গীতসংহিতা ৮ প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে এর প্রকৃত উপলব্ধি খুঁজে পায়, যিনি “সমস্ত শাসন, কর্তৃত্ব, শক্তি এবং কর্তৃত্বের অনেক ঊর্ধ্বে” নিযুক্ত হয়েছেন (ইফিষিয় ১:২০-২১)।  

যীশু এখন সমস্ত কিছুকেই তাঁর কর্তৃত্বের অধীনে নিয়ে আসছেন। তথাপি, যে রাজ্য পুত্র তাঁর আগমনে পিতার কাছে দিবেন, তিনি পুত্রের অধীন নন (১ করিন্থীয় ১৫:২৭-২৮)। এখানে উল্লেখ্য যে, পিতার কাছে পুত্রের অধীনস্থতা কেবলমাত্র মাং‡m মূর্তিমান হওয়ার পরিনতিতে ঘটেছে। পুত্র ঈশ্বর-মানুষ হিসাবে পিতার কাছে অধীন, কিন্তু পুত্রও ঈশ্বর হিসাবে সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বর (যোহন ১:১) কর্তৃত্বে তিনি পিতার সমান।    আগষ্টিন   হিপ্পো   বলেন, “যখন শাস্ত্র পিতাকে পুত্রের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হিসাবে তুলে ধরে, তখন শাস্ত্র পুত্রের মানব স্বত্বার আঙ্গিকে এমন তুলনা করে বলে।  কিন্তু যখন শাস্ত্র তাঁকে সমান বলে উল্লেখ করে, তখন তাঁর ঈশ্বরত্বের আঙ্গিকে বলে।”

যখন মৃত্যু ধ্বংসিত হবে এবং মাং‡m মূর্তিমান পুত্র তাঁর রাজ্য পিতার কাছে হস্তান্তর করবেন, তখন, ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হবেন (১ করিন্থীয় ১৫:২৮)। এখানে এই ধারণা অনুসারে মনে হয় যে, এই পর্যায়ে সমস্ত সৃষ্টি পুনস্থাপিত হবে যেখানে একমাত্র ঈশ্বরের কর্তৃত্বই কাজ করবে। বর্তমানে, পাপীদের উপর মৃত্যুর এক প্রকার অর্পণকৃত কর্তৃত্ব রয়েছে। কিন্তু যখন মৃত্যুকে ধ্বংস করা হবে, তখন আমাদেরকে নিয়ন্ত্রন করার আর কোন শক্তি বা অধিকারই এর থাকবে না। 

ঈশ্বরের মুখ

খ্রীষ্ট সমস্ত কিছুকে তাঁর অধীনে আনয়নের জন্য তাঁর লোকদেরকে ব্যবহার করেন। যেহেতু আমরা যীশুর সাক্ষ্য বহন করি এবং সুসমাচার প্রচার করি, পাপীরা মন পরিবর্তন করে এবং পুত্র ঈশ্বরের কাছে অবনত হয়ে তাদের প্রভু এবং ত্রাণকর্তা হিসাবে প্রনিপাত করে। মণ্ডলীর সুসমাচার প্রচার এবং মিশন সমস্ত কিছুর উপর যীশুকে শাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আসুন আমরা যেভাবেই পারি তাদেরকে সাহায্য করি।  

এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।