


স্বর্গীয় ব্যক্তি
20-05-2025


পুনরুত্থিত দেহ সমন্ধে প্রশ্নসমুহ
27-05-2025জীবনদায়ক আত্না


“এইরূপ লেখাও আছে, প্রথম “মনুষ্য” আদম “সজীব প্রাণী হইল;” শেষ আদম জীবনদায়ক আত্মা হইলেন” (৪৫ পদ)।
আমাদের পুনরুত্থিত দেহ দেখতে কেমন হবে? আজ কাল বিশ্বাসীরা প্রায়ই এমন প্রশ্ন করে থাকেন, কিন্তু আমাদের এই প্রজন্মরাই প্রথম প্রজন্ম নয় যারা এমন প্রশ্ন করে। খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসীদের প্রথম প্রজন্মগুলোও পুনরুত্থিত দেহের প্রকৃতি কেমন হবে তা জানতে চেয়েছে, এবং প্রেরিত পৌল ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায়ে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
৩৫-৪১ পদে আমরা দেখতে পাই যে, আমাদের প্রাক-পুনরুত্থিত এবং পুনরুত্থিত পরবর্তী অস্বিত্বের মধ্যে ধারাবাহিকতা এবং অধারাবাহিকতা ধাকবে। এ থেকে যে বীজ এবং চারা বৃদ্ধি পাবে তার মধ্যে একটি কমন বিষয় থাকবে, কিন্তু সেগুলো আবার ভিন্নও থাকবে। বস্তুত, প্রভু সমস্ত সৃষ্টিতে বিভিন্ন পার্থিব এবং স্বর্গীয় যে দেহগুলো সৃষ্টি করেছেনে তাতে ভিন্নতা দিয়েছেন। অনুরুপভাবে, আমাদের পুনরুত্থিত দেহ একই রকম হবে কিন্তু তা আমাদের বর্তমান দেহ থেকে আলাদা হবে, এবং আমাদের পুনরুত্থিত দেহগুলোতে ঈশ্বর প্রদত্ত তাদের নিজস্ব মহিমা থাকবে।
প্রেরিত পৌল ৪২-৪৫ পদে আমাদের প্রাক এবং পুনরুত্থান পরবর্তী অস্বিত্বের মধ্যে যে পার্থক্য থাকবে তার উপর আলোকপাত করেছেন। এখানে আমরা যে পুনরুত্থিত দেহগুলো লাভ করব তার চেয়ে যে আমাদের বর্তমান দেহগুলো নগন্য তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আমাদের বর্তমান দেহগুলো ক্ষয়শীল, দুর্বল, এবং মূলত স্বাভাবিক। আমরো যখন পুনরুত্থিত হব, আমাদের দেহগুলো অক্ষয়, শক্তিশালী, এবং আত্নিক হবে (১৫:৫০-৫৭ পদও দেখুন)। আমাদের শরীর বিলীন হয়ে যাবে পৌল এ কথা বলেন নি, কেননা আমাদের পুনরুত্থিত দেহগুলো হবে শারীরিক। এর অর্থ হলো এই যে আমাদের দেহগুলো এই পতিত সৃষ্টির পাপ এবং জীবনের সাথে সম্পর্কীত দুর্বলতা থেকে মুক্ত হবে। প্রেরিত পৌল উল্লেখ করেছেন যে পুনরুত্থিত দেহ হবে একটি আত্নিক দেহ, আমরা একটি অদেহী অস্বিত্ব লাভ করব এটা এই কারণে হবে না কিন্তু আমরা পবিত্র আত্না দ্বারা গৌরবান্বিত এবং রুপান্তরিকৃত হওয়ার কারণেই হব এমন কি শারীরিক মাংসেই হব। এটা ১৫:৪৬-৪৯ পদে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাই, এখানে বলা হয়েছে, আমাদের দেহ হবে পুনরুত্থিত যীশুর দেহেরই মতো, যা এমনকি এর গৌরবান্বিত অবস্থাতেও দৃশ্যমান হবে এবং স্পর্শ করা যাবে (যোহন ২০:২৪-২৯)।
আমরা যীশুর দেহের মতোই একটি পুনরুত্থিত দেহ লাভ করব কারণ আমরা শেষ আদম, যীশু খ্রীষ্টের। তিনিই “জীবনদায়ক আত্না” হয়ে উঠেছেন (৪৫ পদ)। উত্থিত, মাংসে মূর্তিমান পুত্র, তিনি ঈশ্বরের লোকদের নূতন জীবন দানে পবিত্র আত্নার কাজের সাথে এত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত আছেন যে তিনি আমাদের শারীরিক এবং আত্নিক উভয় জীবনেরই উৎস। খ্রীষ্ট, আত্নার দ্বারা আমাদের গৌরবান্বিত শরীরিক দেহকে নূতন সৃষ্টির জীবনের জন্য উপযুক্ত করবেন। ড. সিনক্লেয়ার ফারগুনসন তার লিখিত, পবিত্র আত্না এই বইয়ে লিখেছেন: খ্রীষ্টের পুনরুত্থিত দেহ হলো প্রথম ফল এবং নূতন মানবতার একটি নমূনা। কেবলমাত্র তাই নয়, কিন্তু খ্রীষ্ট জীবনদায়ক আত্না হিসাবে তিনি আমাদের পুনরুত্থিত অস্বিত্বের একটি উৎস। তিনি আত্নার উপযোগী জীবন দান করেন।”
ঈশ্বরের মুখ
পবিত্র আত্নার ধ্যানের দ্বারা খ্রীষ্ট হইতে আমাদের নূতন জীবন আসে। পবিত্র আত্নাকে পাওয়া মানে হলো খ্রীষ্টকে পাওয়া, এবং পিতার গৌরবের জন্য পবিত্র আত্না প্রতিনিয়ত আমাদেরকে খ্রীষ্টের দিকে দৃষ্টিপাত করতে আকর্ষন করে। আমরা যদি খ্রীষ্টে আস্থা রাখি, তবে আমাদের পবিত্র আত্না আছে, যার মধ্যদিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে অনন্ত জীবন দান করেন। যেহেতু আপনি এই দিনে পাপকে কবরস্থ করতে এবং ঈশ্বরের সম্মানার্থে জীবনযাপন করতে প্রাণপন করেন এই শিক্ষা আপনাকে উৎসাহিত করুন।
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।