মণ্ডলী সংস্কারের আবশ্যকীয়তা বিষয়ে জন ক্যালভিন
20-08-2024আপনি কেন কাজ করেন?
29-08-2024সুসমাচার মানে কি?
অনেক খ্রীষ্টান, মণ্ডলী, এবং সংস্থা তাদের দৃঢ়-প্রত্যয় বর্ণনা করতে নিয়মিতভাবে সুসমাচার শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। সুসমাচারের অর্থ নিয়ে এবং কে এটি বিশ্বস্তভাবে প্রচার করছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে ধর্মতাত্ত্বিক বিরোধ পূর্বেও উঠেছে এবং এখনও উঠছে। সুসমাচার এই পরিচিত শব্দের মানে কি? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সবচে’ উত্তম মাধ্যম হলো বাইবেলে ফিরে যাওয়া।
গ্রিক নূতন নিয়মে, ইউয়ানগেলিয়ন (“সুসমাচার”) বিশেষ্য সত্তর বারেরও বেশী ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু, এক অর্থে, সমগ্র নূতন নিয়ম হলো মূলত সুসমাচার সমন্ধে, আমরা অবশ্যই প্রত্যাশা করতে পারি যে এই শব্দটি আরও ঘন ঘন ব্যবহৃত হতে পারত। এমনকি আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, নূতন নিয়মের পু্স্তকসমুহের লেখকদের মধ্যে এর ব্যবহারে ব্যাপকভাবে ভিন্নতা রয়েছে। পৌল অন্যান্য সকল লেখকদের ব্যবহারের সমষ্টির চেয়ে তিন গুণেরও বেশী বার শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এর অনান্য ব্যবহারের বেশীরভাগ মথি ও মার্কে পাওয়া যায়, আর যদি কোথাও ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তা লূক, যোহন, পিতর ও যাকোবের পত্রে পাওয়া যায়।
সুসমাচার শব্দের সবচে’ সহজ অর্থ হলো “সু সংবাদ।” খ্রীষ্টিয় বার্তায় এই শব্দটি অতুলনীয় নয়, কিন্তু এটা পৌত্তলিক জগতের মধ্যে কোন ভাল ঘোষণাকে বুঝাতেও ব্যবহৃত হতো। নূতন নিয়মে, ত্রাণকর্ত্তা যীশুর সু-সংবাদকে বুঝানো হয়ে থাকে। প্রায়শঃ, পাঠকেরা এই শব্দের মানে কি জানে এমন ধরে নিয়েই এটার ব্যবহার করে থাকে।
নূতন নিয়মে সুসমাচার শব্দটি যে উপায়ে ব্যবহৃত হয়েছে, যদি তা আমরা কাছে থেকে দেখি, সেক্ষেত্রে কয়েকটি দিক জোরালোভাবে সামনে চলে আসে।
প্রথমত, আমরা প্রায়ই “ঈশ্বরের সুসমাচার” বাক্যাংশটি দেখতে পাই। এই বাক্যাংশটি ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে সুসমাচারের উৎসে জোরারোপ করে। সুসমাচারের উৎস স্বর্গীয়, মানবীয় নয়।
দ্বিতীয়ত, সুসমাচারের বৈশিষ্টকে কয়েকটি ভিন্ন উপায়ে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে: সুসমাচার সত্য (গালাতীয় ২:৫, ১৪; কলসীয় ১:৫), অনুগ্রহপূর্ণ (প্রেরিত ২০:২৪), এবং গৌরবজনক (২ করিন্থীয় ৪:৪; ১ তীমথিয় ১:১১)।
তৃতীয়ত, আমরা সুসমাচারের প্রতি দু’টো সাড়াদান দেখতে পাই। প্রাথমিক সাড়াদান হলো বিশ্বাস (প্রেরিত ১৫:৭; ইফিষীয় ১:১৩)। কিন্তু বাধ্যতাও হলো এক সাড়াদান (১ পিতর ৪:৭; রোমীয় ১:৫; ১০:১৬; ১৬:২৬; ২ থিষলনীকীয় ১:৮)। (রোমীয় পুস্তকে বিশ্বাসের বাধ্যতার ধারণা অর্থে পৌলের ব্যবহারে এক ব্যাজস্তুতির উপাদান রয়েছে, যারা তাকে নীতিশাস্ত্রবিরোধীতার, তিনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বলে তাকে অভিযুক্ত করছিল, এবং যখন তিনি তাদের উত্তর দিচ্ছিলেন।)
চতুর্থত, আমরা সুসমাচারের কয়েকটি ফলাফল দেখতে পাই। সুসমাচার, অবশ্যই, পরিত্রাণ নিয়ে আসে (রোমীয় ১:১৬; ইফিষীয় ১:১৩)। এটা রাজ্যও নিয়ে আসে (মথি ৪:২৩; ৯:৩৫, ২৪:১৪)। এটা ঈশ্বরের লোকদের মধ্যে আশা সঞ্চার করে (কলসীয় ১:২৩)। সুসমাচার আবার পবিত্রকরণের প্রতিও এক অনুপ্রেরণা (মার্ক ৮:৩৫; ১০:২৯; ২ করিন্থীয় ৯:১৩; ইফিষীয় ৬:১৫; ফিলিপীয় ১:২৭)।
এই সমস্ত উপায়ে যেখানেই সুসমচার শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেখানেই তা এর বিষয়বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করে, কিন্তু নূতন নিয়মে এমন অনেক শাস্ত্রাংশও রয়েছে যেগুলো এই বিষয়বস্তু সম্পর্কে খুবই স্পষ্ট। এই টেক্সটগুলো পরীক্ষা করে, আমরা বের করেছি যে, কোন কোন সময় সুসমাচার শব্দটি, বৃহত্তর পরিসরে পরিত্রাণের সকল দিক বুঝায় এবং যীশু যে নূতন জীবন তাঁর লোকদেরকে দান করেন, তা বুঝায়, কোন কোন সময় আমাদের বাইরে থেকে আমাদের জন্য যীশু কি করেছেন সংকীর্ণভাবে সেই দিকটাকে বুঝায়। অন্যভাবে বললে বলা যায়, কোন কোন সময় সুসমাচার শব্দ বৃহত্তর পরিসরে যীশু তাঁর লোকের পক্ষে এবং তাদের মধ্যে যে নির্দোষিতা ও পবিত্রকরণের কাজ করেছেন তা বুঝায়, আবার মাঝে মাঝে সংকীর্ণ অর্থে নির্দোষিতা বিষয়ক যীশুর কাজকে বুঝায়। এই তফাৎটিকে আরেক ভাবে রাখার পথ হলো, কোন কোন সময় সুসমাচার শব্দ দ্বারা পুরাতন নিয়মে কৃত প্রতিজ্ঞাসমুহ যা নূতন নিয়মে পরিপূর্ণতা পেয়েছে সেই সমস্তটুকুকে বৃহত্তর অর্থে বুঝায়, এবং কোন কোন সময় সংকীর্ণ অর্থে সুসমাচার শব্দটি ব্যবস্থার করণীয় আমাদের পালনের তারতম্যে ব্যবস্থা যীশুর পালন করাকে বুঝায়।
সুসমাচার শব্দের বৃহত্তর ধারণার একটি উদাহরণ দেখা যেতে পারে মার্ক ১:১ পদে, “যীশুর খ্রীষ্টের সুসমাচারের আরম্ভ, তিনি ঈশ্বরের পুত্র।” সুসমাচার শব্দের এ ব্যবহারটি মনে হয় যীশুর শিক্ষা ও কাজ সমন্ধে মার্ক আমাদের যা কিছু বলেন, তার সমস্তটুকুকে বুঝায়। আমরা আরেকটি বৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬-৭ পদে দেখতে পাই:
পরে আমি আর এক দূতকে দেখলাম, তিনি আকাশের মধ্যপথে উড়ছেন, তাঁর কাছে অনন্তকালীন সুসমাচার আছে, যেন তিনি পৃথিবী-নিবাসীদেরকে, প্রত্যেক জাতি ও বংশ ও ভাষা ও প্রজাবৃন্দকে, সুসমাচার জানান; তিনি উচ্চরবে এই কথা কহেন, ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁকে গৌরব প্রদান কর, কেননা তাঁর বিচার-সময় উপস্থিত; যিনি স্বর্গ, পৃথিবী, সমুদ্র ও জলের উনুই সকল উৎপন্ন করেছেন, তাঁর ভজনা কর।
এখানে সুসমাচার হলো অনুতাপ এবং ঈশ্বরেরে উপাসনা করার জন্য আহবান।
প্রায়ই, সুসমাচার পরিভাষাটি সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং এর বিষয়বস্তু সুনির্দিষ্টকৃত থাকে। আমরা এটা ১ করিন্থীয় ১৫:১-৪ পদে দেখতে পাই:
হে ভ্রাতৃগণ, তোমাদেরকে সেই সুসমাচার জানাচ্ছি, যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, যা তোমরা গ্রহণও করেছ, যাতে তোমরা দাঁড়িয়ে আছ; আর তারই দ্বারা, আমি তোমাদের কাছে যে কথাতে সুসমাচার প্রচার করেছি, তাহা যদি ধরে রাখ, তবে পরিত্রাণ পাচ্ছ; নচেৎ তোমার বৃথা বিশ্বাসী হয়েছ। ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করেছি, এবং এটা আপনিও পেয়েছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরলেন, ও কবর প্রাপ্ত হলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হয়েছেন।
এখানে, সুসমাচার হলো যীশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের বার্তা।
সুসমাচারের উৎস ঈশ্বর থেকে উপহার। সুসমাচারের উৎস স্বর্গীয়, মানবীয় নয়।
অন্য আরেকটি জায়গায়, পৌল লেখেন, “এটি পরম ধন্য ঈশ্বরের সেই গৌরবের সুসমাচার অনুযায়ী, যে সুসমাচার আমার কাছে গচ্ছিত হয়েছে,” এবং সে সুসমাচার কি, তা তিনি সুনির্দিষ্ট করেছেন:
এ্ই কথা বিশ্বসনীয় ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করবার জন্য জগতে এসেছেন; তাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য; কিন্তু এই জন্য দয়া পেয়েছি, যেন যীশু খ্রীষ্ট এই অগ্রগণ্য আমাতে সম্পূর্ণ দীর্ঘসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করেন, যাতে আমি তাদের আদর্শ হতে পারি, যারা অনন্ত জীবনের নিমিত্ত তাঁতে বিশ্বাস করবে (১ তীমথিয় ১:১১, ১৫-১৬)।
এখানে সুসমাচার হলো পাপীদের জন্য খ্রীষ্টের উদ্ধারজনক কাজ।
একইভাবে ২ তীমথিয়তে পৌল লিখেন:
অতএব আমাদের প্রভুর সাক্ষ্যের বিষয়ে, এবং তাঁর বন্দি যে আমি, আমার বিষয়ে তুমি লজ্জিত হবে না, কিন্তু ঈশ্বরের শক্তি অনুসারে সুসমাচারের সাথে ক্লেশভোগ স্বীকার কর; তিনিই আমাদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছেন, এবং পবিত্র আহবানে আহবান করেছেন, আমাদের কার্য অনুসারে, এমন নয়, কিন্তু নিজ সঙ্কল্প ও অনুগ্রহ অনুসারে করেছেন; সেই অনুগ্রহ অনাদিকালের পূর্বে খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদেরকে দত্ত হয়েছিল, এবং এখন আমাদের ত্রাণকর্ত্তা খ্রীষ্ট যীশুর প্রকাশ প্রাপ্তি দ্বারা প্রকাশিত হল, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করেছেন, এবং সুসমাচার দ্বারা জীবন ও অক্ষয়তাকে দীপ্তিতে এনেছেন। যীশু খ্রীষ্টকে স্মরণ কর; আমার সুসমাচার অনুসারে তিনি মৃতগণের মধ্য হতে উত্থাপিত, দায়ুদের বংশজাত (২ তীমথিয় ১:৮-১০; ২: ৮)।
সুসমাচার শব্দের এই সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহার ষোড়শ শতাব্দির সংস্কারকগণের লেখায় খুবই সাধারণ ছিল। আমরা এটা জন ক্যালভিনের চিন্তা-ধারায়ও দেখতে পাই:
বিশ্বাসের শব্দটি প্রতিজ্ঞার জন্য ব্যবহৃত মেটনিমি (এক ধারণার নামকে অন্য একটি ধারণার জন্য ব্যবহার করা যাতে এটি সম্পর্কিত) শব্দের জন্য রাখা হয়েছে, অর্থাৎ, স্বয়ং সুসমাচারের জন্য, যেহেতু এটা বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুসমাচার ও ব্যবস্থার মধ্যে তারতম্য বুঝতে হবে, এবং এই ভিন্নতা থেকে আমরা ধরে নিই যে, ব্যবস্থা যেমন কাজ দাবী করে, তেমনি সুসমাচার কেবল এ দাবী করে যে ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভের জন্য মানুষের বিশ্বাস আনা উচিত।
এই বিষয়টি যাকারিয়াস আরসিনুসের লেখায়ও পরিষ্কার। তার লেখা হিদেলবার্গ ক্যাটেকিজমের টীকা-গ্রন্থের শুরুর দিকেই, আরসিনুস মতবাদকে সবটুকুকে ব্যবস্থা ও সুসমাচারের আলোকে বিভক্ত করেন:
মণ্ডলীর মতবাদ দু’টো অংশ দ্বারা গঠিত: ব্যবস্থা ও সুসমাচার; যাতে আমরা পবিত্র শাস্ত্রের সমষ্টি ও সারবস্তু উপলব্ধি করেছি। ব্যবস্থা দশ আজ্ঞা হিসাবে পরিচিত, এবং সুসমাচার হলো মধ্যস্থতাকারী খ্রীষ্ট, এবং বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে, বিনামূল্যে পাপের ক্ষমা সমন্ধীয় মতবাদ।
সংস্কার-পন্থি ধর্মতত্ত্বে সুসমাচারের উপর এমন প্রতিফলন সাধারণ বিষয় থেকেছে, যেমনটি আমরা মহান ডাচ ধর্মতত্ত্ববিদ হারম্যান ব্যাভিঙ্ক-এর এই দীর্ঘ, আকর্ষনীয় উদ্ধৃতি থেকে দেখতে পাই:
কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য, ব্যবস্থা ও সুসমাচার উভয় হিসেবে, ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রত্যাদেশ, কর্ম-চুক্তির ও অনুগ্রহ-চুক্তির ঘোষণা ……… যদিও বৃহত্তর অর্থে “ব্যবস্থা” ও “সুসমাচার” পরিভাষাগুলো বস্তুত অনুগ্রহ-চুক্তির পুরাতন এবং নূতন ঐশ্বরিক বিধান বুঝাতে ব্যবহার হতে পারে, সেগুলোর নিজস্ব তাৎপর্যের দিক থেকে, তারা সুনির্দিষ্টভাবে স্বর্গীয় ইচ্ছার দু’টো অত্যাবশ্যকীয় ভিন্ন প্রত্যাদেশ বর্ণনা করে [ব্যাভিঙ্ক এখানে নূতন নিয়মের অনেক পরীক্ষিত টেক্সট উল্লেখ করেন] ……… এই টেক্সটগুলোতে ব্যবস্থা ও সুসমাচারকে, দাবী ও উপহার, আদেশ ও প্রতিজ্ঞা, পাপ ও অনুগ্রহ, অসুস্থতা ও আরোগ্য, জীবন ও মৃত্যুর মধ্যেকার তারতম্যের মত করে তারতম্য করা হয়েছে ……..। ব্যবস্থা ঈশ্বরের পবিত্রতা থেকে আসে, সুসমাচার আসে ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে; ব্যবস্থাকে প্রকৃতি থেকে জানা যায়, সুসমাচারকে জানা যায় কেবলমাত্র বিশেষ প্রত্যাদেশ থেকে; ব্যবস্থা সিদ্ধ ধার্মিকতা দাবী করে, কিন্তু সুসমাচার এটা মঞ্জুর করে; ব্যবস্থা লোকদেরকে কর্মের দ্বারা অনন্ত জীবনের দিকে পরিচালিত করে, এবং সুসমাচার বিশ্বাসে যোগানো অনন্ত জীবনের প্রাচুর্য্য থেকে সৎকর্ম উৎপন্ন করে; ব্যবস্থা বর্তমানে লোকদেরকে দোষী করে, এবং সুসমাচার তাদেরকে বেকসুর মুক্তি দেয়; ব্যবস্থা নিজে থেকেই সকল লোককেই অন্তর্ভুক্ত করে, এবং সুসমাচার কেবলমাত্র তাদেরকেই দেয়া হয় যারা এ শোনার পরিমণ্ডলে থাকে।
সুসমাচারের এই উপস্থাপনা কতই না পরিষ্কার, স্বতন্ত্র, বাইবেলভিত্তিক, এবং মুল্যবান।
বৃহত্তর ও সংকীর্ণ উভয় অর্থেই মণ্ডলীর সুসমাচার প্রচার করা প্রয়োজন। সুসমাচারের জন্য গ্রিক শব্দ ইংরেজী-ভাষাভাষী বিশ্বকে ইভানজেলিজম শব্দটি দিয়েছে। মথি ২৮:১৮-২০ পদে যীশুর দেয়া মহান আদেশ অনুসারে, সত্যিকারের সুসমাচার-প্রচার হলো শিষ্য তৈরী করার বিষয়: প্রথমত, সংকীর্ণ অর্থে নর ও নারীদের যীশুকে বিশ্বাস করতে আহবান করা, এবং দ্বিতীয়ত, বৃহত্তর অর্থে খ্রীষ্ট তাঁর লোকদেরকে যে সমস্ত শিক্ষা দিয়েছেন, সেই সমস্ত পালন করতে তাদেরকে শিক্ষা দেয়া। সুসমাচারের স্বার্থে, আসুন আমরা সকলেই সত্যিকারের সুসমাচার-প্রচার তুলে ধরি।
এ লেখাটি মূলতঃ ট্যাবলটক, আমাদের দৈনন্দিন বাইবেল অধ্যযন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।