


মৃত্যু এবং জীবনের সুগন্ধ
24-06-2025খ্রীষ্টে বিজয় যাত্রা


“আর ধন্য ঈশ্বর, তিনি সর্বদা আমাদিগকে লইয়া খ্রীষ্টে বিজয়-যাত্রা করেন, এবং তাঁহার সম্বন্ধীয় জ্ঞানের সুগন্ধ আমাদের দ্বারা সর্বস্থানে প্রকাশ করেন;” (১৪ পদ)|
১ করিন্থীয়ের প‡Î পৌল আবার যখন জরুরীভাবে করিন্থ পরিদর্শন করেb তখন সেই “মনোদুঃখ জনক পরিদর্শনের” পরে কি ঘটেছিল তা প্রেরিত ২ করিন্থীয় ২:১২-১৩ পদে আরও বিস্তারিতভাবে তার যাত্রা সমন্ধে বর্ণনা করেছেন| করিন্থে শীঘ্র ফিরে যাবেন না এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে, যেহেতু তিনি প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে শহর ছেড়েছিলেন, পৌল করিন্থীয়দের জন্য একটি অনুযোগের পত্র প্রেরণ করে ত্রোয়াতে চলে গিয়েছিলেন (১২ পদ)| ত্রোয়া ছিল এশিয়া মাইনরের উত্তর-পশ্চিম বন্দর নগরী যেখান থেকে জাহাজগুলো ভুমধ্যসাগরের বিভিন্ন বন্দরে ছেড়ে যেত| ত্রোয়ার সুসমাচার প্রচারের প্রভাব অনেক দুর পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারতো, যেহেতু সেখানে যারা শিষ্য হয়েছিল তারা সুসমাচার নিয়ে যেকোন স্থানে যেতে পারতো|
যাউ হউক, আজকের শাস্ত্রাং‡k যেমন উল্লেখ করে, পৌল ত্রোয়াতে দীর্ঘ দিন থাকেন নি কারণ সেখানে তার তীতের সাথে দেখা হয়েছিল| ২ করিন্থীয় ৭ অধ্যায় থেকে আমরা জানতে পারি যে, তীত পৌলের এই অনুযোগের পত্র করিন্থে বহন করে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাই তার কাছে করিন্থীয়দের কাছ থেকে উত্তর থাকতে পারে| তাই, সর্বশেষ সংবাদ পাওয়ার জন্য পৌল ত্রোয়াতে তীতের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য রাজী হয়েছিলেন এবং যদি এই ব্যক্তির যাত্রা ত্রোয়াতে একসাথে না হয় তবে পরে সাক্ষাতের দ্বিতীয় স্থান হিসাবে মাকিদনিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন| ত্রোয়তে তীতকে না পেয়ে, পৌল মাকিদনিয়ার চলে গিয়েছিলেন| তিনি আত্নায় অস্থির হয়েছিলেন কারণ তিনি তখনও করিন্থীয়দের অবস্থা সমন্ধে চিন্তিত ছিলেন, তিনি তখনও জানতেন না যে, করিন্থীয়রা তার পত্রের জবাব অনুতাপের সহিত দিয়েছেন কি না এবং যে লোক তার বিরোধীতা করেছিলেন তারা তাকে শাসন করেছেন কি না (২:১৩; আবার ৫-১১ পদ দেখুন)| যদিও ঈশ্বর ত্রোয়াতে পরিচর্যার একটি দ্বার উম্মোচন করেছিলেন তথাপি পৌল এই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন, কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে যদি তিনি আরও বেশী দিন থাকেন, তিনি হয়তো তীতকে আর দেখতে পাবেন না| যাই হউক, লক্ষ্য করুন যে পরবর্তীতে পৌল দীর্ঘ সময়ের পরিচর্যা করার জন্য ত্রোয়াতে ফিরে গিয়েছিলেন, যেমন এই তথ্য প্রেরিত ২০:১-১২ পদে নথিভুক্ত আছে|
২ করিন্থীয় ২;১৪ পদে পৌল তার নুতন চুক্তির পরিচর্যার প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে একটি নূতন অধ্যায় শুরু (যা ৭:১ পদ পর্যন্ত চলমান) করার জন্য তার যাত্রার পরিকল্পনা ভগ্ন করেন| প্রেরিত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়ার দ্বারা শুরু করেন যে তিনি তার সমস্ত যাত্রার মধ্যে এবং সাথে ছিলেন, “আর ধন্য ঈশ্বর, তিনি সর্বদা আমাদিগকে লইয়া খ্রীষ্টে বিজয়-যাত্রা করেন, এবং তাঁহার সম্বন্ধীয় জ্ঞানের সুগন্ধ আমাদের দ্বারা সর্বস্থানে প্রকাশ করেন;” (২:১৪)। পৌলের খ্রীষ্টে বিজয় যাত্রার এই ছবিটি রোমীয় জেনারেলদের বিজয় যাত্রা থেকে এসেছে, যেখানে তারা তাদের সৈন্যদের বিজয় ঘোষনা করার জন্য যুদ্ধ বন্দীদের শহরের মধ্যদিয়ে গমন করাতো| এই বিজয় যাত্রায়, বন্দীদের ধুপ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ দেওয়া হতো| পৌল বলছেন যে, তিনি এবং অনান্য প্রেরিতগণ হলেন তারাই যাদেরকে খ্রীষ্ট, শয়তান, যাকে তিনি ক্রুশে পরাজিত করেছেন তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ধৃত করেছেন ধরেছেন, বন্দী করেছেন ( কলসীয় ২:১৫)| তারাই হলেন প্রভুর বিজয়ের পুরষ্কার, এবং যে সুগন্ধ তারা ছড়ায় তা ধুপের নয় কিন্তু মহামূল্যবান সুসমাচারের সত্য (২ করিন্থীয় ২:১৪)|
ঈশ্বরের মুখ
আমরা হয়তো প্রেরিত হবো না, কিন্তু যা খ্রীষ্ট দিয়াবলকে পরাজিত করে জয় করেছেন, আমরা এমন পুরষ্কার হয়ে প্রেরিতদের মতো হতে পারি| খ্রীষ্টের সম্মুখে যে আনন্দ রাখা হয়েছে আমরা তার একটি অংশ (ইব্রয় ১২:২), এবং আমরা তার বিজয় যাত্রায় অংশ, আমরা যেখানেই যাই তার সুসমাচারের সুগন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহবান প্রাপ্ত| আসুন আমরা অন্যদেরকে যীশু সমন্ধে বলার দ্বারা এবং আমাদের প্রার্থনা এবং আর্থিক সহযোগীতার মাধ্যমে এই কাজকে সহযোগীতা এবং মণ্ডলীর সাক্ষ্য বহনের মধ্যদিয়ে সেই কাজটি করি|
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।