


রান্না করার আনন্দ
08-07-2025


পৌলের যাত্রা পরিকল্পনা
12-08-2025প্রভুতে অনেক মঙ্গলবাদ


“এশিয়ার মণ্ডলী সকল তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছে| আক্কিলা ও প্রিষ্কা এবং তাঁহাদের গৃহস্থিত মণ্ডলী তোমাদিগকে প্রভুতে অনেক মঙ্গলবাদ করিতেছেন ” ( ১৯ পদ)|
করিন্থীয়দের প্রতি পৌলের প্রথম পত্রের শেষ টানতে গিয়ে তিনি করিন্থীয়ের কয়েকজন নারী এবং পুরুষের বিষয় বলেছেন যাদেরকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জানতেন| এভাবে, আমরা আমরা তাকে তিমথীয়, আপল্লো, স্তিফান, ফর্তুনাত, আখায়িকের সমন্ধে কথা বলতে দেখি (১ করিন্থীয় ১৬:১০-১৮)| আজকের শাস্ত্রাং‡k, তিনি দুইজন উল্লেখযোগ্য চরিত্রের কথা উল্লেখ করেছেন যারা প্রৈরিতিক যুগে বাস করতেন এবং কাজ করতেন কিন্তু তারা প্রেরিত ছিলেন নাঃ তারা হলেন আক্কিলা ও প্রিষ্কা (১৯ পদ)|
প্রেরিত ১৮:১-৩ পদে আমরা দেখতে পাই যে পৌল করিন্থীয়তে প্রথম দিকে পরিচর্যা করার সময় প্রথম তিনি আক্কিলা এবং প্রিষ্কা (যিনি প্রিষ্কিল্লা নামে পরিচিত), তাদের দেখা পান| আক্কিলা এবং প্রিষ্কা তারা রোমের যিহুদী খ্রীষ্টিয়ান ছিলেন, যখণ সমাজগৃহে যীশুর পরিচয় নিয়ে তর্কের কারণে সম্রাট ক্লডিয়াস রোম শহরের সমস্ত যিহুদীদেরকে বহিষ্কার করতে শুরু করেন তখন তারা তাদের বাড়ী ত্যাগ করতে বাধ্য হন| রোমীয় ইতিহাসবিদ সুটেনিয়াসও আমাদেরকে এই ঘটনা সমন্ধে জ্ঞাত করে, যা ৪৯ খ্রীষ্টাব্দে ঘটেছিল| রোম ত্যাগ করার পরে আকিল্লা এবং প্রিষ্কা করিন্থীয়তে এসেছিলেন, এবং সেখানে তারা তাদের তাঁবু তৈরীর ব্যবসা করতে থাকেন, যে ব্যবসায় প্রেরিত পৌলও করতেন| তাঁবু তৈরীকারকগণ সকল ধরণের চামড়াজাত সামগ্রী তৈরী করতেন, এর মধ্যে তাঁবু থেকে শুরু করে পায়ের জুতা বা স্যান্ডাল পর্যন্ত রয়েছে, এবং পৌল এবং অন্যান্য খ্রীষ্টিয়ান তাঁবু তৈরী কারকগণের কাছে তাদের দোকানে আসা কাষ্টমারদের সাথে সুসমাচার নিয়ে আলাপচারিতা করা সহজ ছিল| এবং প্রিষ্কা করিন্থে পৌলকে জায়গা দিয়েছিলেন, এবং করিন্থীয়তে মণ্ডলী স্থাপনের ক্ষেত্রে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন (প্রেরিতত ১৮:১-৩)|
প্রেরিত ১৮:২৪-২৮ পদ বলে যে, একসময় করিন্থে বসবাসের পরে, আকিল্লা এবং প্রিষ্কা ইফিষে চলে গিয়েছিলেন, যেখানে তারা আরও যথাযথ খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস বু‡S আপোল্লোকে শিষ্য করতে সক্ষম হয়েছিলেন| যেহেতু পৌল ইফিষে থাকার সময় ১ করিন্থীয় পত্রটি লিখেন, তাই আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই যে, তিনি আকিল্লা এবং প্রিষ্কার মঙ্গলবাদের সহিত, এমন কি “তাদের গৃহস্থিত মণ্ডলীর” মঙ্গলবাদও অর্ন্তভুক্ত করেছেন (১ করিন্থীয় ১৬:১৯)| এখানে যে মণ্ডলীর কথা বলা হচ্ছে সেই মণ্ডলী ইফিষে আকিল্লা এবং প্রিষ্কার ঘরে মিলিত হতো, এবং আমাদের স্মরণ করা উচিত যে আদি খ্রীষ্টিয়ানগণ তারা একে অন্যের ঘরে আরাধনা এবং সহভাগিতার জন্য মিলিত হতেন| পৌল “এশিয়াস্থিত মণ্ডলী” গুলোর শুভেচ্ছাও দিয়েছেন| ইফিষ ছিল এশিয়ার একটি প্রদেশ, এবং মণ্ডলীগুলো শহরের বিভিন্ন প্রদেশগুলোতে বিরাজমান ছিল| উদাহরণস্বরুপ, প্রকাশিতবাক্য পুস্তকটি, মুলত এশিয়াস্থিত মণ্ডলীগুলোর কাছে লেখা হয়েছে|
আজকের শাস্ত্রাং‡k, পৌল খ্রীষ্টিয়ানদেরকে একে অন্যকে পবিত্র চুম্বনে আবদ্ধ হতে শিক্ষা দিয়েছেন| এটা ছিল বিশ্বাসীদের মধ্যে প্রেমের একটি চিহ্ন, এবং আমারা আমাদের মণ্ডলীগুলোতে মিলিত হওয়ার সময় আমাদের প্রেম দেখানোর জন্য আমাদের সংস্কৃতিতে যা মানানসই চিহ্ন ব্যবহার করতে পারি|
ঈশ্বরের মুখ
১ করিন্থীয় ১৬ অধ্যায়ে আমরা যতগুলো শুভেচ্ছা এবং ব্যক্তিদের বিষয় দেখতে পাই তা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আদি খ্রীষ্টিয়ানদের একে অন্যের প্রতি একটি গভীর প্রেম ছিল| এমন প্রেম অবশ্যই বর্তমানেও মণ্ডলীগুলোতে থাকা উচিত| আমরা যারা যীশুকে বিশ্বাস করি, তাঁর উপরে আমাদের একই বিশ্বাসের কারণে আমরা একই পরিবার, তাই আসুন আমরাও আমাদের মণ্ডলীতে একে অন্যকে প্রেম করতে যত্নবান হই|
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।