


সরলতা এবং স্বর্গীয় আন্তরিকতা
01-07-2025পিতা এবং পু্ত্র হইতে অনুগ্রহ এবং শান্তি


পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত, এবং তীমথিয় ভ্রাতা- করিন্থে ঈশ্বরের যে মণ্ডলী আছে, এবং সমস্ত আখায়া দেশে যে সকল পবিত্র লোক আছে, তাঁহাদের সর্বজন সমীপে| আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হইতে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক”
লোকেরা যখন সুসমাচার গ্রহণ করে, তখন তারা নূতন একটি দিকে avweZ nq, একটি নূতন সৃষ্টি হয় (২ করিন্থীয় ৫:১৭). আমাদের মন পরিবর্তনর ক্ষণ থেকে আমরা আরও বেশী খ্রীষ্টের সাদৃ‡k¨র দিকে ধাবিত হতে থাকি, যদিও এর মানে এই নয় যে, এই জীবনে আর পাপ থাকবে না| কোন কোন সময় আমরা পশ্চাৎপদতার সম্মুখীন হই| কোন কোন সময় আমরা নিজেদেরকে যীশুর চেয়ে এই সাথে বেশী সম্পৃক্ত হতে দেখি| সর্বোপরী, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না গৌরবান্বিত হচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত কখনই সম্পূর্ণভাবে পাপ বিহীন হতে পারি না (১ যোহন১:৮-১০)| ঈশ্বর আমাদের মধ্যে যে উত্তম কাজ শুরু করেছেন, তা তিনি অবশ্যই সমাপ্ত করবেন (ফিলিপীয় ১:৬), কিন্তু কোন কোন সময় মনে হয় যে, এই কাজের গতি খুবই মন্থর|
১ করিন্থীয়তে আমরা আমাদের অধ্যয়নে যেমন দেখেছি, করিন্থীয়তে প্রথম শতাব্দির মণ্ডলী ছিল একটি জীবন্ত প্রমাণ যে, পবিত্র করণ খুবই ধীর গতিতে হতে পারে এবং বিশ্বাস স্বীকৃতিকারী বিশ্বাসীগনও সাংঘাতিক পাপে পতিত হতে পারে| করিন্থের ধনী, প্রভাবশালী এবং বহুজাতিক শহর, যৌন পাপ, গর্ব, অসার দর্শনগুলোতে বিশ্বাসের প্রতি প্রলোভনের সকল ধরণের সম্ভাবনাগুলোকে তুলে ধরেছে এবং করিন্থীয় বিশ্বাসীরা আরও বেশী বেশী করে সেগুলোর প্রতি নতি স্বীকার করেছিল| তাই, পৌল সমস্যা সমাধানের জন্য ১ করিন্থীয় পত্রটি লিখেছেন|
করিন্থীদের কাছে প্রেরিতের প্রথম ক্যননিক্যাল পত্রটি, যাই হউক, করিন্থীয়তে বিষয়গুলোকে পরিবর্তন করে নি| তিমথীয়, যাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এবং সেখানকার মণ্ডলীর সমস্যাকে সমাধান করার জন্য পৌল করিন্থে পাঠিয়ে ছিলেন (১ করিন্থীয় ৪:১৭; ১৬:১০-১১), তিনি খবর নিয়ে আসলেন যে সেই সমস্যাগুলো বিদ্যমান আছে| তাই, পৌল মাকিদিয়ার মধ্যদিয়ে যাওয়ার পরই শুধুমাত্র আবার করিন্থীয় পরিদর্শনের মুল পরিকল্পনাকে বাদ দিয়ে ছিলেন (১ করিন্থীয় ১৬:৫-৯)| বরং, তিনি মণ্ডলীর সঙ্গে সরাসরি সমাধানের জন্য সোজা করিন্থীয়তে গিয়েছিলেন| এই পরিদর্শন ভাল যায় নি, কারণ পৌল ভ্রান্ত প্রেরিতদের এবং একগুঁয়ে মণ্ডলীর দ্বারা অনেক বেশী বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছিলেন| প্রেরিত তার এই পরিদর্শনকে “মনোদুঃখ জনক পরিদর্শন” হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন (২ করিন্থীয় ২:১)| ইফিষে ফিরে এসে, যেখানে তিনি ১ করিন্থীয় পত্রটি লেখেন, তিনি একটি অনুযোগের পত্র লেখেন যা তীত করিন্থে বহন করে নিয়ে যান| আমাদের কাছে এই পত্রের কোন অনুলীপি নাই, কিন্তু পৌল যখন তীতের সাথে মিলিত হন, তিনি জানতে পেরেছেন যে পত্রের উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে| করিন্থীয় মণ্ডলীর অনেকেই অনুতাপ করেছিল এবং প্রেরিতের সাথে পুর্নমিলিত হতে চেয়েছিল (৭:৫-৯)| এই সুসংবাদের উত্তর দিতে গিয়ে পৌল ২ করিন্থীয় পত্রটি লেখেন| আগামীতে আমরা এই পত্রের পটভুমি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব|
পৌলের প্রারম্ভিক ভুমিকাতে ঈশ্বর পিতা এবং পুত্র ঈশ্বর হইতে অনুগ্রহ এবং শান্তির একটি আশির্বাদ রয়েছে (২ করিন্থীয় ১:১-২)| অনুগ্রহ- অঅর্জন যোগ্য আনুকুল্য- যা আমাদের সৃষ্টিকর্তা তাঁর লোকদেরকে রক্ষা করার জন্য প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে প্রেরণের দ্বারা দেখিয়েছেন, তিনিই ঈশ্বর এবং যারা পরিত্রাণের জন্য একমাত্র যীশুতে বিশ্বাস করেন তাদের মধ্যে চিরকালীন শান্তি সৃষ্টি করেছেন (রোমীয় ৫:১)|
ঈশ্বরের মুখ
সুসমাচারের একটি মহামূল্যবান সত্য এই যে, যেহেতু ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি দয়াবান, তাই যখন আমরা শুধুমাত্র খ্রীষ্টেতে নির্ভর করি তখন তাঁর সাথে আমাদের অনন্তকালীণ শান্তি রয়েছে| তিনি সাধারণ কোন যুদ্ধ বিরতি স্থাপন করেন নি যা পুনরায় আবার পুরোদমে শুরু হতে পারে| তিনি আমাদেরকে কেবলমাত্র এদন বাগানের আদমের অবস্থানে নিয়ে আসেন নি যেখানে ঈশ্বরের অনন্তকালীণ আনুকল্য হারিয়ে যেতে পারে| তিনি খ্রীষ্টেতে আমাদের সাথে চিরকালীণ শান্তি স্থাপন করেছেন| আসুন আমরা আজকে তাঁকে সেবা করার মধ্যদিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ দিই|
এই প্রবন্ধটি মূলতঃ লিগনিয়্যার মিনিস্ট্রিজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।